মালদা, ২৬ এপ্রিল (হি.স.): সম্প্রতি রাজস্থানের বাঁশোয়ারায় নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তা নিয়ে প্রবল রাজনৈতিক বিতর্ক ওঠে। শুক্রবার মালদার জনসভাতেও তাঁর মুখে উঠে আসে অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গ।
এদিন সরাসরি মোদীর তোপ, “তৃণমূল আর কংগ্রেস কীভাবে তোষণের প্রতিযোগিতা চালাচ্ছে। তৃণমূল বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের এনে বসাচ্ছে। আপনাদের জমি জায়গা ওদের দিয়ে দিচ্ছে। আর কংগ্রেস আপনাদের সম্পত্তির একটা অংশ ওদের দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।”
বস্তুত এদিনের সভায় কার্যত সরাসরিই সংখ্যালঘু তোষণ নিয়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূলকে বিঁধেছেন মোদী। উদ্দেশ্য, মেরুকরণ। আবার পালটা একটা চেষ্টাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। টেনে এনেছেন তিন তালাক প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী মনে করান, “কেন্দ্র যখন তিন তালাক বাতিল আইন আনল, তখন এই তৃণমূলই সেটার বিরোধিতা করেছে। এরা মুসলিম মহিলাদের শত্রু।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, কংগ্রেস এবং তৃণমূলের জোট রয়েছে। তুষ্টিকরণের জন্য এই দুই দল যা খুশি করতে পারে। ‘‘তুষ্টিকরণের জন্য তৃণমূল এবং কংগ্রেস সিএএ বিরোধিতা করছে।’’
প্রসঙ্গত, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সদস্য বৃন্দা কারাত এবং পুষ্পিন্দর সিং গ্রেওয়াল রাজস্থানের সভায় বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে দিল্লির মন্দির মার্গ থানায় গিয়েছিলেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর ‘অনুপ্রবেশকারী’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেন যে প্রধানমন্ত্রী এমন বিবৃতি দিয়েছেন যা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা বাড়ায় এবং ভারতে জাতীয় ঐক্যের ক্ষতি করে।