আগরতলা, ২৩ এপ্রিল : ১-ত্রিপুরা পশ্চিম সংসদীয় ক্ষেত্রে গত ১৯ এপ্রিল সংঘটিত নির্বাচন সম্পর্কে কয়েকটি সংবাদপত্রে যেসব অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে সে বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করা হয়েছে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার ডা. বিশাল কুমার। আজ রাতে এক প্রেস রিলিজে ১-ত্রিপুরা পশ্চিম সংসদীয় ক্ষেত্রের রিটার্নিং অফিসার জানান, এই নির্বাচনী ক্ষেত্রে মাইক্রো অবজারভারদের ইতিবাচক রিপোর্ট দিতে চাপ দেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়। মাইক্রো অবজারভারগণ যাতে সঠিকভাবে রিপোর্ট দেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাইক্রো অবজারভারগণ যাতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করেন সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার ডা বিশাল কুমার এক নির্বাচন কর্মীর অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ কর্মীর খোঁজখবর নেন। রিটার্নিং অফিসার জানান, সেই কর্মী সুস্থ হয়েছেন এবং তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার চিকিৎসার ব্যয়ভারও প্রশাসন বহন করবে।
প্রেস রিলিজে রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন, সিপিআই (এম) দলের সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী যে পরিমাণ ভোট পড়েছে সেখানে গড়মিল রয়েছে বলে যে অভিযোগ করেছেন এবং যা ডেইলি দেশের কথা সংবাদপত্রে ২২-০৪-২০২৪ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে তার তদন্ত করা হয়েছে। তাছাড়াও জেনারেল অবজারভার গত ২০-০৪-২০২৪ তারিখে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসকের অফিসে সকাল ১১টায় সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।
প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরি এবং মাইক্রো অবজারভারের রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হয়েছে। দেখা গেছে, ১০ মজলিশপুর বিধানসভা ক্ষেত্রের ৪৪ নং বীরেন্দ্রনগর হাইস্কুলের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত আধিকারিকরা যেমন এফএসটি, এসএসটি, ভিএসটি এবং রিজার্ভড সেক্টর অফিসার এবং পোলিং অফিসারগণ বীরেন্দ্রনগর হাই স্কুলে ৬৮টি ইডিসি ভোট প্রদান করেছেন। ১০ মজলিশপুর বিধানসভা ক্ষেত্রের ৪৪ নং ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মোট অ্যাসাইন্ড ভোটার ছিলেন ৫৪৫ জন। অ্যাসাইন্ড ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৯৮টি এবং ভোটদানের হার ৯১.৩৭ শতাংশ। তাছাড়া এই ১০/৪৪ বুথে অন্যান্য বিধানসভা ক্ষেত্রের নথিভুক্ত নির্বাচকের প্রদত্ত ভোট ১২.৪৮ শতাংশ। অ্যাসিস্টেট রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের কাছাকাছি হওয়াতে বেশি মাত্রায় ইডিসি ভোট পড়ে। তাই নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত আধিকারিকদের অনেকেই সেখানে ভোট দেওয়াটাই বেছে নেন। তাছাড়া, ৫ খয়েরপুর বিধানসভা ক্ষেত্রে ৪৪ নং লেম্বুছড়া এসবি স্কুলের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে উল্লেখ করা হয়েছে ৯৯.১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৮১.৬৩ শতাংশ।
১৯-০৪-২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত ১-ত্রিপুরা পশ্চিম লোকসভা আসনের নির্বাচন এবং ৭- রামনগর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং কিছু সংবাদমাধ্যমে যেসব অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে সেগুলি উপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়নি বলে জানিয়েছেন ১-ত্রিপুরা পশ্চিম সংসদীয় নির্বাচনী ক্ষেত্রের রিটার্নিং অফিসার ডা. বিশাল কুমার।