জুটমিল সি সি-৫২
এ ডি নগর পি সি-৫৩/৩
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা।। জুটমিলকে হারালো এ ডি প্লে সেন্টার। প্রত্যাশিতভাবেই ফাইনালে উঠলো শক্তিশালী এ ডি নগর প্লে সেন্টার। খেতাবি দখলরে লড়াইয়ে এ ডি নগর প্লে সেন্টার খেলবে এগিয়ে চলো সঙ্ঘের বিরুদ্ধে। ২৪ এপ্রিল এম বি বি স্টেডিযামে হবে খেতাব নির্ণায়ক ম্যাচটি। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা আয়োজিত সিনিয়র মহিলা ক্রিকেটারদের আমন্ত্রণমূলক ক্রিকেট আসরে। সোমবার মেলাঘরের শহীদ কাজ ময়দানে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে এ ডি নগর পি সি অনায়াসেই পরাজিত করে জুটমিল কোচিং সেন্টারকে। জুটমিলের গড়া মাত্র ৫২ রানের জবাবে এ ডি নগর ১৭.৪ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। বিজয়ী দলের হিরামমি গৌর ৪ উইকেট নিয়েছেন। এ ডি নগরকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে এমন প্রত্যাশায় আশায় বুক বেধেছিলেন জুটমিলের ক্রীড়া প্রেমীরা। কার্যত তার ছিটেফোটাও দেখা যায়নি। দলীয় ব্যাটর্সদের চূড়ান্ত ব্যর্থতায় শুরু থেকেই খাদের ইকনারায় চলে যায় মনোজিৎ দাসলের দল। মাত্র ২৭.৩ ওভারে ব্যাট করার স্কোরবোর্ডে ৫২ রান তুলতেই সব উইকেট হারিয়ে বসে। দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ইন্দ্ররাণী জমাতিয়া ব্যর্থ হতেই ‘তাসের ঘরের’ মতো ভেঙ্গে যায় জুটমিলের ইনিংস। দলের পক্ষে নিকিতা দেবনাথ ২৪ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১ এবং শিউলি চক্রবর্তী ১৬ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০ রান করেন। ওই দুজন ছাড়া দলের আর কেউ দুই অঙ্কের রানে পা রাখতে পারেননি। এ ডি নগরের পক্ষে হিরামণি গৌর ২২ রানে ৪ টি, প্রীয়াঙ্কা আচার্য ৫ রানে এবং পারমিতা চক্রবর্তী ৫ রানে ২ টি করে উইকেট দখল করেন। মূলত: হিরামণির আগুন ঝরানো বোলিংয়ের সামনেই দিশেহারা হয়ে পড়ে জুটমিল। জবাবে খেলতে নেমে এ ডি নগর ১৭.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। বিজয়ী দলের পক্ষে মৌটুসী দে ৪৪ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২১ এবং প্রীয়াঙ্কা আচার্য ৫ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১১ (অপ:) রান করেন। জুটমিলের পক্ষে নিকিতা সরকার ১০ রানে ২ টি উইকেট দখল করেন।