উত্তর দিনাজপুর, ৬ এপ্রিল (হি.স.) : ”এনআইএ আর সিবিআই বিজেপির ভাইভাই, ইডি আর ইনকাম ট্যাক্স বিজেপির ফান্ডিং বক্স”৷ শনিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের হেমতাবাদ থানার মাঠে নির্বাচনী জনসভায় বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তাঁর দলের কর্মীদের গ্রেফতার করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলনেত্রী। বিজেপির ‘চক্রান্ত’র বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি জানান, যাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরই ভোটের এজেন্ট করা হবে।
কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের উদ্দেশে রায়গঞ্জের প্রচার মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘‘ভয় দেখাচ্ছি না, ভাইবোন সম্বোধন করে বলছি। কিন্তু যে আধিকারিকেরা এমন করছেন তাঁদের বলছি, বিজেপি কিন্তু সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবে না। আমরা সব নজরে রাখছি।’’
এনআইএ, সিবিআই, ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে দিল্লির মসনদে থাকা বিজেপি নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থচরিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করছে বলে বারবার অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ এদিন সেই অভিযোগই আরও স্পষ্ট করেন তৃণমূলনেত্রী৷
এদিন হেমতাবাদের থানার মাঠে নির্বাচনী জনসভার মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, “এনআইএ আর সিবিআই বিজেপির ভাইভাই ৷ ইডি আর ইনকাম ট্যাক্স বিজেপির টাকা তোলার বাক্স ৷” ইডি, আয়কর দফতরকে বিজেপির ফান্ডিং বক্স বলে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা তল্লাশি অভিযান করে টাকা তুলছে আর বিজেপির তহবিলে দিয়ে দিচ্ছে।”
রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা করেন মমতা। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে হারিয়ে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রেটি দখল করে।
এবারে লোকসভা নির্বাচনের আগেই গোটা শহরে পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে যায়, যাতে লেখা ছিল, “বিজেপিকে চাই! বহিরাগত দেবশ্রী চৌধুরীকে নয়।” এই ঘটনা জেলা বিজেপির অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী কলহেরই ইঙ্গিত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই এবারের বিজেপির অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে এই কেন্দ্র ফিরে পেতে মরিয়া শাসকদল। সেই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সভা কতটা ছাপ ফেলবে, সেটাই দেখার বিষয়।

