আগরতলা, ৬ এপ্রিল: ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর একটিও রাজনৈতিক খুন হতে দেয় নি। সিপিএমের রাজত্বে বহু কংগ্রেস কর্মীর খুন হয়েছিল। আজ আনন্দনগর ময়দানে নির্বাচনী সমাবেশে এমনটাই দাবি করলেন পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব।
এদিন তিনি বলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন রাষ্ট্র নির্মাণের নির্বাচন। তাই শক্তিশালী রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করুন।
তাঁর কটাক্ষ, ত্রিপুরায় কমিউনিস্ট অস্তিত্ব বাঁচানোর স্বার্থে কংগ্রেসের সাথে আঁতাত করেছে। কিন্তু কেরলে কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কেরলে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কমিউনিস্ট প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এই হল কংগ্রেস ও কমিউনিস্টের আসল চরিত্র।
এদিন তিনি আরও বলেন, সিপিএমের রাজত্বে বহু কংগ্রেস কর্মী ঘর ছাড়া হয়েছেন, বহু কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছেন। আজ রাজ্যে বামগ্রেসের মিতালি হয়েছে। ত্রিপুরার দুইটি লোকসভা আসনে ইন্ডিয়া ব্লকের প্রার্থী প্রতিদ্ধন্দিতা করবেন।
তাঁর কথায়, সিপিএম কখনো মহিলাদের সম্মানের চোখে দেখত না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মহিলাদের স্বনির্ভর করতে প্রায়স চালিয়ে যাচ্ছেন। বিজেপি সরকারের কাছে সবচেয়ে বেশি মহিলা কর্পোরেটর ,সংসদ,বিধায়ক রয়েছে। সিপিএম ও কংগ্রেসের কাছে মহিলাদের কোনো স্থান নেই।
তাঁর কথায়, পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ইন্ডিয়া ব্লকের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। সেই মিছিলে সমস্ত কংগ্রেস ও কমিউনিস্টের নেতা কর্মীরা ছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, ত্রিপুরার ৪ বারের মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকারকে দেখা যায়নি। কারণ, মানিক সরকার অবৈধ জোটের পক্ষে নেই।
তাঁর কটাক্ষ, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার কমিউনিস্ট করে এসেছেন।যাঁরা সারা জীবন ধরে কাস্তি হাতুড়িতে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা কিভাবে এখন হাত চিহ্নে ভোট দেবেন। তাদের এর চেয়ে দুর্দিন আর কি হতে পারে।