উনকোটি জেলায় নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করলেন পূর্ব ত্রিপুরার আসনের বিজেপি প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ৩ এপ্রিল: বুধবার পূর্ব ত্রিপুরা আসনের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মা ঊনকোটি জেলায় নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করেছেন। এদিন প্রথমে ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর মণ্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত উনকোটি কলাক্ষেত্রে পৃষ্ঠাপ্রমুখ সম্মেলন ও নির্বাচনী সাংগঠনিক বৈঠকে অংশ গ্রহন করেছেন। তারপর চন্ডীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ডলুগাঁও স্কুল মাঠে নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করেছেন।

এদিনের এই সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৈলাসহর চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্য সরকারের মাননীয় মন্ত্রী টিঙ্কু রায়, রাজ্য সরকারের মাননীয় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান মোবশর আলী,বিজেপি দলের অন্যতম নেতা সুবল ভৌমিক, কৈলাসহর বিজেপি মন্ডলের মন্ডল সভাপতি সিদ্ধার্থ দত্ত, কৈলাসহর পুরপরিষদের চেয়ারপারসন চপলা রানী দেবরায়, ঊনকোটি জেলার বিজেপির সভাপতি পবিত্র দেবনাথ, কৈলাসহর পুরপরিষদের ভাইস চেয়ারপারসন নিতিশ দে, থেকে শুরু করে বিজেপি দলের অন্যান্য নেতৃত্বরা এদিনের এই সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সাংগঠনিক বৈঠক শেষে চন্ডিপুর বিধানসভার অন্তর্গত ডলুগাঁও স্কুল মাঠে নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করেছেন নেতৃত্বরা।

এদিনের জন সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের বিজেপি দলের প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মন বলেন, আপনারা আমাকে সংসদে পাঠান, আমি আপনাদের কথা সংসদে পাঠাবো। তিনি বলেন আমার পরিবারের প্রত্যেকেই আপনারা চেনেন। আমি ত্রিপুরার মেয়ে। এদিন সভায় উপস্থিত সবার কাছে তিনি বিজেপির পক্ষে ভোট দেবার আহ্বান করেছেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী শুক্লা চরন নোয়াতিয়া বলেন যে, পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনে বিজেপি দলের প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মনকে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জয়ী করে চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপর প্রবাহিত মনু নদীর জলে বিরোধী দলের নেতৃত্বকে ভাসিয়ে দিন।

জন সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী টিংকু রায় কংগ্রেস এবং সি.পি.আই.এম এই দুই দলকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন যে, ত্রিপুরা রাজ্যে দীর্ঘ প্রায় ৩৫বছর সি.পি.আই.এম দল রাজত্ব করার সময় রাজ্যে কয়েক শত শত কংগ্রেস দলের কর্মীদের খুন করা হয়েছে। কংগ্রেস দল করার অপরাধে কংগ্রেস দলের কর্মীদের বাড়ি ঘর আগুনে পুড়িয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। আজ এসব কিছু ভুলে গিয়ে কংগ্রেস এবং সি.পি.আই.এম দলের নেতারা একসাথে মিলেমিশে একে অপরের লেজুড় ধরেছে।

মন্ত্রী টিংকু রায় কংগ্রেস বিধায়ক বিরজিত সিনহাকে একহাত নেন। তিনি বলেন, বিরজিৎ বাবু যখন রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে বামেদের সরকারের সময়ে দীর্ঘদিন বিধায়ক থাকার সময় কৈলাসহরের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিধানসভায় কথা বলেননি, তিনি নীরব ছিলেন। কৈলাসহরে নতুনভাবে মহকুমা শাসকের অফিস কিংবা দুইশো সিটের যুব আবাস কিংবা নতুন করে জেলাশাসকের অফিস নির্মানের জন্য কোনো চেস্টা করেননি। কিন্তু রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীর আসনে ড: মানিক সাহা বসার পর কৈলাসহরে  সবকিছুর কাজ শুরু হয়েছে।

এদিনের জন সমাবেশে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও দলের জরুরি এক কাজে রাজ্যের বাইরে চলে যাওয়ায় মূখ্যমন্ত্রী মানিক ডলুগাও বাজার মাঠে এই জন সমাবেশে উপস্থিত থাকতে পারেননি।

এদিনের এই জনসভায় ৫২ পরিবারের ২০০ জন ভোটার বিভিন্ন দল ছেড়ে বিজেপি দলে যোগদান করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *