প্রকৃতি বিরুপ হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে জুমিয়া পরিবার গুলো

আগরতলা, ১ এপ্রিল: জুমিয়া পরিবার গুলির আর্থিক উপার্জনে বেঁচে থাকার পথ জুম চাষ। আর জুমের ফসল ভালো হলে আর্থিক অনটন কিছুটা কম হলেই তারা খুশি। তবে জুমের ফলন ভাল হলে  সংসার চালানো কষ্টকর হয় না জুমিয়া পরিবার গুলির। জঙ্গলের বিভিন্ন সবজির উপর নির্ভর করে সংসার প্রতিপালন করতে হয়।

এদিকে ,গতবছর জুম চাষ আশানুরূপ হয়নি। ফলে কচুতেই ভরসা  জুমিয়া পরিবার গুলি।তাই জংগলের কচু তথা মায়ুং ইয়াফা সংগ্রহ করে থাফাফুরুং বানিয়ে বিক্রি করে সংসার প্রতিপালনে ব্যস্ত  একাধিক জুমিয়ারা। খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুংগিয়াকামি ব্লকের অধীন আঠারোমুড়া এডি সি ভিলেজের অন্তর্ভুক্ত  ৪৭ মাইল এলাকায় বসবাসরত গিরিবাসির আয় উপার্জনের মাধ্যম হল জুম চাষ। প্রতি বছরের ন্যায় গতবছরও জুমের চাষ করে তারা। কিন্তু ফলন ভাল হয় নি বলে খুবই কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন গুজরান করতে হয়েছে। ফলে আর্থিক ভাবে সমস্যার জর্জরিত হয়ে পরে জুমিয়ারা। সংসার প্রতিপালনের জন্য বাধ্য হয়ে বিকল্প আয়ের উৎস খোঁজার চেষ্টা করছে তারা। কোন ধরনের উপায় না  পেয়ে পাহাড়ের  জংগল থেকে কচু তথা মায়ুং ইয়াফাকেই ভর করে উনারা।

এক জুমিয়া পরিবার জানায় জংগল থেকে কচু সংগ্রহ করে তা জাতাকলে পিষে  মোচা তথা থাপা ফুরুং বানিয়ে, সেই মোচাকে আবার বাতাসা আকৃতি করে বাজারে বিক্রি করছে। আঠারোমুড়া পাহাড়ের আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশে কিংবা মুঙ্গিয়াকামী ও তেলিয়ামুড়া বাজারে বিক্রি করে উপার্জন করছেন বলেও জানায় জুমিয়া কলংকিনি রিয়াং ও ক্ষুদিরাম রিয়াং।

 প্রতি কিলো ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও পর্যাপ্ত পরিমানে হয়না। কিন্তু সংসার প্রতিপালন করার তাগিদে তা করতে হচ্ছে।গত বছর জুম ভাল হয় নি । ফলে আর্থিক ভাবে সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে জুমিয়া পরিবার গুলো। ফলে অন্যের রাবারবাগান বা অন্য  বাড়িতে কাজ করতে হচ্ছে। অন্যান্য বছরে জুমের চাল কোমড়, তিল, মিস্টি কোমড় ইত্যাদি চাষ করে সংসার প্রতিপালন হয়ে যেত। কিন্তু গত বছর প্রকৃতি বিরুপ হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে জুমিয়া পরিবার গুলো। সরকারি ভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলে এই সমস্যা থেকে কিছুটা নিস্তার পাবে বলেও আশা ব্যক্ত করে জুমিয়া পরিবারের সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *