পূর্ব ত্রিপুরা আসনে নির্বাচনী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক কল্যাণী রায়ের

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ৩১ মার্চ: পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত সংরক্ষিত আসনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন বিধানসভার মুখ্য সচেতন কল্যাণী রায় সাহা।

লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের অন্তর্গত ২৮ তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে র বুথ এবং মন্ডল কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করলেন বিধায়ীকা তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সহ রায়।

বড়মুড়া কাফেটোরিয়ায় এই বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ডলের দুইজন সম্পাদক, দুই সহ সভাপতি, বিস্তারক, সহ ৫৪ টি বুথের বুথ সভাপতি ও কার্যকর্তাগণ। বৈঠকে প্রত্যেক বুথ সভাপতিদের কাছ থেকে রিপোর্ট কার্ড নিলেন বিধয়ীকা। বুথ ভিত্তিক হিসেব নিকেষ এ বিধানসভার ভোটের মার্জিন থেকে লোকসভা ভোটে মার্জিন কতটা কিভাবে বাড়বে সেই সব রিপোর্ট তুলে ধরলেন বুথ সভাপতি গন।

বুথ ভিত্তিক প্রচার কতটা এগিয়ে নেওয়া যায় সেই বিষয়ে ও বৈঠকে আলোচনা করা হয়। যদিও এবার জনজাতি এলাকায় প্রচার নিয়ে সমস্যা না থাকলেও তিপ্রা মথা বিজেপির সাথে একসাথে কতটা প্রচারে অংশ সেটা দেখার বিষয়।

তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে ২০ টির ও বেশি জনজাতি বুথ রয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত ত্রিপরা মথা প্রায় আট হাজার ভোটে এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু লোকসভা ভোটে মথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ এর বোন কীর্তি সিং দেববর্মন নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় স্বাভাবিকভাবেই মথার ভোট এবং বিজেপির ভোট মিলে প্রতিটি বুথেই বিরোধীদের তুলনায় রেকর্ড পরিমান ভোট বাড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

তবে এই সমীকরন ২০২৮ এর নির্বাচনে কতটা বিজেপি ধরে রাখতে পারবে সেটা সময় বলবে। তবে অউপজাতি বুথে গত বিধানসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী অশোক বৈদ্য ভালো ভোট টেনে নিয়েছে। প্রায় দশ হাজারের ও বেশি ভোট পেয়েছিল অশোক কুমার বৈদ্য।

যার ফলে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণী রায় ২০১৮ থেকে ২০২৩ এ ভোটের মার্জিন  অনেকটাই কমে যায়। কারন ২০১৮ নির্বাচনে মথার জায়গায় ছিলো আই পি এফ টি। আর ২০২৩ এ,  আই পি এফ টি যারা ছিল সবাই মথা র সংঘটনে যোগ দেয়, সেই সাথে বিজেপির জনজাতি ভোটের একটা অংশ মথায় চলে যায়।

দীর্ঘ সাত বছরে তেলিয়ামুড়া বিধানসভা এলাকায় ব্যাপক কাজ হয়েছে। উন্নয়নের নিরিখে বাম আমলের ২৫ থেকে বিজেপির সাত বছরে অনেক বেশি কাজ হয়েছে ২৮ তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে। তাই লোকসভা নির্বাচনে অ উপজাতি বুথে ২০২৮ এর বিধানসভা নির্বাচনের জন্য একটা হিসেব শাসকদল করতে পারবে বলে মনে কর রাজনৈতিক মহল।