মহিলার  কাছ থেকে নগদ অর্থ ও সোনা গয়না ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে রাষ্ট্রীয় হিন্দু সংগঠন

নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ২৩ মার্চ: কৈলাসহর খাওরাবিল এলাকায় এক মহিলার  কাছ থেকে নগদ অর্থ ও সোনা গয়না ছিনতাই করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। রাঙ্গাউটি এলাকার এক ব্যক্তি নগদ অর্থ সহ বিভিন্ন সামগ্রী ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলিশের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে রাষ্ট্রীয় হিন্দু সংগঠনের কার্যকর্তারা।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ঝুমা রানী নমঃ কৈলাসহর ঊনকোটি নার্সিং কেয়ারের একজন নিরাপত্তা কর্মী। চলতি মাসের ২০ তারিখ উনার মোবাইলে ফোন আসে যে উনার মা খুবই অসুস্থ, তারপর তিনি ঊনকোটি নার্সিং কেয়ার থেকে একটি ই-রিক্সা করে খাওড়াবিল এলাকায় অবস্থিত উনার  বাপের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দেন।

অভিযোগ খাওড়াবিল গিয়ে ঝুমা রানী নম ইরিক্সা থেকে নেমে উনার বাপের বাড়ি যাওয়ার জন্য পায়ে হেঁটে রওনা দেন। তখনই নাকি পেছন দিক থেকে রাঙ্গাউটি এলাকার বাসিন্দা ফরজান আলী নামে এক ব্যক্তি ঝুমা রানী নমঃকে মুখের মধ্যে চাপা দিয়ে ধরে এবং একটি জমির মধ্যে টেনে হিচড়ে নিয়ে যায় বদ উদ্দেশ্যে। এরপর ঝুমা রানী নম:র গলা থেকে একটি স্বর্ণের চেইন, একটি মোবাইল, নগদ পাঁচ হাজার টাকা সহ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় ফরজান আলী।

এদিকে তিনি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে স্থানীয়রা এসে ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। উক্ত বিষয় নিয়ে চলতি মাসের ২১ তারিখ কৈলাসহর ইরানি থানায় ঝুমা রানী নমঃ ফরজান আলীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত আকারে অভিযোগ দায়ের করে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে আরও জানা যায় যে ঝুমা রানী নম এবং উনার স্বামী অমৃত কর্মকারের সাথে ফরজান আলীর পূর্বে সুসম্পর্ক ছিল। তবে হঠাৎ করে কি কারনে এই ঘটনাটি ঘটল এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

পাশাপাশি বর্তমানে কৈলাসহর পাইতুরবাজার এলাকায় ঝুমারানী নম: স্বামীসহ ও সন্তানদেরকে নিয়ে একটি ভাড়াবাড়িতে বসবাস করে আসছেন। উক্ত বিষয় নিয়ে ঝুমা রানী নম ও তার স্বামী অমৃত কর্মকার রাষ্ট্রীয় হিন্দু সংগঠনের কাছে বিচার প্রার্থী হন। পরবর্তী সময়ে শনিবার সকাল বেলা ঝুমারানী নম:র পাইতরবাজার এলাকায় অবস্থিত ভাড়া বাড়িতে ছুটে যান রাষ্ট্রীয় হিন্দু সংগঠনের কার্যকর্তারা।

রাষ্ট্রীয় হিন্দু সংগঠনের উনকোটি জেলা কমিটির সভাপতি শ্যামল সরকার বলেন ইরানি থানার পুলিশ যদি ঝুমা রানী নমর মামলাটি নথিভুক্ত না করেন, তাহলে উনার আগামী দিনে কৈলাসহরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকারের কাছে দারস্ত হবেন এবং জেলা পুলিশ সুপারের কাছেও দারস্ত হবেন।

এরপরও যদি ন্যায় বিচার না পায় ঝুমা রানী নমঃ তাহলে আগামী দিনে কৈলাসহরে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে রাষ্ট্রীয় হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে বলে জানান রাষ্ট্রীয় হিন্দু সংগঠনের ঊনকোটি জেলা কমিটির সভাপতি শ্যামল সরকার। পাশাপাশি ঝুমা রানী নম ও উনার স্বামী অমৃত কর্মকার ফরজান আলীর কঠোর থেকে কঠোরতম যাতে শাস্তি হয়। তবে যাই হোক উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা কৈলাসহর মহকুমা জুড়ে।