গুয়াহাটি, ৪ মাৰ্চ (হি.স.) : চলে গেলেন স্থিতপ্ৰজ্ঞ রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ তথা অসমের প্ৰাক্তন শিক্ষামন্ত্ৰী অধ্যাপক রমণী বৰ্মণ। বার্ধক্যজনিত ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নলবাড়ির একটি ভাড়াবাড়ির বিছানায় আজ সোমবার ভোর প্রায় পাঁচটা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন রমণী বৰ্মণ। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
১৯৭৮ সালে গোলাপ বরবরা নেতৃত্বাধীন জনতা পার্টি সরকারের শিক্ষা ও গৃহ দফতরের প্রতিমন্ত্ৰী ছিলেন অধ্যাপক রমণী বৰ্মণ। সততা ও সংগ্ৰামী রাজনীতিবিদ রমণী বৰ্মণ সেই প্ৰজন্মের শেষ প্ৰতিনিধি ছিলেন।
১৯৭৮ সালের রাজ্য বিধানসভা নিৰ্বাচনে ধৰ্মপুর থেকে নিৰ্বাচিত হয়েছিলেন নলবাড়ি কলেজের অধ্যাপক রমণী বৰ্মণ৷ তদানীন্তন কংগ্রেস প্রার্থী ভূমিধর বর্মণ (পরবর্তীতে কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী)-কে ৩,৩৬৩টি ভোটের ব্যবধান পরাজিত করেছিলেন রমণী। আদৰ্শকে আঁকড়ে ধরে আপসহীন, মূল্যবোধের রাজনীতিবিদ রমণী বৰ্মণ ছিলেন একজন প্রকৃত সমাজসেবক। ১৯৯৫ সালে তাঁর ছোট ছেলে আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল। প্ৰিয়তমা পত্নী এবং এক ছেলের মৃত্যু জীবদ্দশায় দেখে গেছেন তিনি। এ ঘটনায় শোকে ভেঙে পড়েছিলেন রমণী বর্মণ। আমৃত্যু বাবার শুশ্ৰূষা করে গেছেন তাঁর বড় ছেলে৷
সাম্যবাদী রাজনীতিবিদ গোটা জীবন মূল্যবোধের রাজনীতি করেছেন। জনসেবার জন্য সৰ্বস্ব উজার করে দিয়েছেন তিনি। এক সময় তিনি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মজদুর ইউনিয়নের প্রথমসারির নেতা ছিলেন। এছাড়া জনতার কণ্ঠ বৰ্মণ নলবাড়িতে শহিদ মুকুন্দ কাকতি অসামরিক হাসপাতাল স্থানান্তরের বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদী আন্দোলনের প্রথমসারির যোদ্ধা ছিলেন।
প্ৰসঙ্গত, ‘হৃদয়র সংলাপ’ শীর্ষক আত্মজীবনীতে বহু কথা লিপিবদ্ধ করে গেছেন রমণী। তাঁকে জীবনশিল্পী আদ্য শৰ্মা পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। এমন জননতার মৃত্যুতে নলবাড়ি সহ সমগ্ৰ অসমে শোক বিরাজ করছে।

