নিজস্ব প্রতিনিধি, কদমতলা, ২৬ ফেব্রুয়ারি: বর্বরতার শিকার অপর এক যুবক। এবার কদমতলা থানাধীন সাতসঙ্গম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক যুবককে বিবস্ত্র করে মেরে গোটা শরীর ফাটিয়ে রক্তাক্ত করলো একই পরিবারের বাবা ছেলে কাকা সহ অন্যান্য আত্মীয়রা।
গতকাল এই এই ঘটনার খবর পেয়ে কদমতলা থানাধীন রানিবাড়ি এসপিও ক্যাম্পের ইনচার্জ সঞ্জয় মুন্ডা দুপুর প্রায় বারোটা নাগাদ সাতসঙ্গম গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নং ওয়ার্ডের রানী বাড়ি দক্ষিণ লাইন এলাকার বাসিন্দা কুস আকুরা ওরফে ছঠেলের বাড়িতে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে খবর পেয়ে তিনি তার সহকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পান কুস আকুরা ওরফে ছঠেলের ছেলে সহ সহযোগী আত্মীয়রা মিলে একি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অনুপ দাস (২৭)(পিতা সমরেন্দ্র দাস)কে বিবস্ত্র করে বেধড়ক ভাবে মারধর করছে।
আর সেই মারে অনুপের গোটা শরীর ফেটে রক্ত পড়ছে। তড়িঘড়ি আহত যুবককে উদ্ধার করে একটি কাপড় দিয়ে তার লজ্জা স্হান ঢেকে খবর দেন বজেন্দ্রনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকা ১০২এম্বুলেন্সে।
তৎক্ষণাৎ এম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌছলে গুরুতর ভাবে আহত যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় বজেন্দ্রনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে। আহত যুবকের পিতা সমরেন্দ্র দাস জানিয়েছেন, তিনি ঘটনার সময় অসমের বাজারিছড়ায় ছিলেন। পরে খবর পেয়ে এসেছেন। তিনি কদমতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে আহত যুবক বর্তমানে গুরুত্বর অবস্থায় ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।সে কথাবার্তা বলতে পারছে না বলেও খবর। অপরদিকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতেই এই ঘটনা সাথে অভিযুক্ত চারজনকে আটক করেছে কদমতলা থানার পুলিশ। গোটা ঘটনায় রানিবাড়ি দক্ষিণ লাইন এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। দাবি উঠেছ অভিযুক্তদের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি প্রদানের।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার সাতটা নাগাদ কদমতলা থানায় ছুটে আছেন উত্তর জেলায় পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী। পুলিশ সুপার জানান ইতিমধ্যে কদমতলা থানার পুলিশ একটি মামলা গ্রহণ করেছে সুনির্দিষ্ট ধারায় যার নম্বর ১০/২৪ কদমতলা থানা । চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তারা হলেন যথাক্রমে কোশ আকুরা (৫০) পিতা মৃত গনেশ আকুরা, লব আকুরা (৫০) পিতা মৃত গনেশ আকুরা,পান্না আকুরা (১৮) পিতা কোশ আকুরা, সমরজিৎ আকুরা (২৪) পিতা সাধন আকুরা। আগামীকাল তাদের জেলা আদালতে প্রেরণ করবে পুলিশ রিমান্ড চেয়ে কদমতলা থানার পুলিশ। তবে কদমতলা থানার পুলিশ যদি ঘটনাটি সুষ্ট ভাবে তদন্ত না করেন তাহলে তার রেশ ধরে বড়সড় গন্ডগোল হতে পারে বলে এমনটাই আশঙ্কা করছেন স্হানীয় এলাকাবাসীরা।

