নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ ফেব্রুয়ারি: রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লু সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখ সুবিধা অসুবিধা খোঁজখবর নিতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে ছুটে যেতে শুরু করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়েও বিভিন্ন কাজকর্মের পর্যালোচনা করছেন। রাজ্যপালের এই ইতিবাচক ভূমিকায় দারুণ খুশি রাজ্যবাসি। এ ধরনের প্রয়াস একদিকে যেমন প্রশাসনকে প্রশাসনিক কাজকর্ম চাঙ্গা করবে, ঠিক তেমনি জনস্বার্থ সুরক্ষিত হবে বলে অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
শুক্রবার হেজামারা ব্লকের অন্তর্গত শানখোলা এলাকায় স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় করলেন রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লু। এদিন এই এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সম্পর্কে অবগত হন রাজ্যপাল। পাশাপাশি যে সমস্যা গুলো উঠে এসেছে সেগুলো অতি সত্য সমাধানের জন্য নির্দেশ দেন তিনি।
রাজ্যের রাজধানীর অনেক কাছে হলেও এখনো প্রত্যন্ত হিসেবে গণ্য হয় হেজামারা আরডি ব্লক। এই ব্লক এলাকার শানখোলা এডিসি ভিলেজ কমিটি এলাকার মানুষ কি ধরনের সরকারের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন এবং উন্নয়নমূলক কাজ কিভাবে হচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে সরজমিনে খোঁজখবর নিতে এলেন রাজ্যপাল। সমস্ত দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল।
এদিন একে একে সমস্ত দপ্তরের আধিকারিকদের কাছ থেকে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ সম্পর্কে অবগত হয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র আধিকারিকদের কথায় সন্তুষ্ট না থেকে সুবিধাভোগীদের সাথেও সরাসরি কথা বলেছেন তিনি। স্থানীয়দের কাছ থেকে রাজ্যপাল জানতে পারেন আখালিয়া ছড়া হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রীরা এখনো বাইসাইকেল পারেনি। অথচ নবম শ্রেণীতে ওঠার পর তাঁদের বাইসাইকেল দেওয়ার কথা ছিল।
রাজ্যপাল নির্দেশ দেন এই সমস্যা অতিসত্বর সমাধান করার জন্য। সেই মোতাবেক পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ঘোষণা করেন আগামী সাত দিনের মধ্যে সমস্ত ছাত্রীদের বাইসাইকেল প্রদান করা হবে। এইদিন রাজ্যপাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন এই এলাকার উন্নয়ন এবং অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্যই এই সফর কর্মসূচি ছিল।
তবে যে সমস্যাগুলো উঠে এসেছে সেগুলো কতটা সমাধান হয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য আবার একমাস পর তিনি এই এলাকায় আসবেন বলে জানিয়েছেন। এদিন রাজ্যপালের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হেজামারা আরডি ব্লকের বিডিও ওবেড ডারলং, হেজামারা বিএসি চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা এবং অন্যান্যরা।
ReplyForwardAdd reaction |