BRAKING NEWS

মিমির ইস্তফার ইচ্ছের খবরের প্রতিক্রিয়ায় নেটনাগরিকরা দ্বিধাবিভক্ত

কলকাতা, ১৬ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। এখনও পর্যন্ত ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। ব্যস্ততার কারণে আর প্রার্থী হতে চান না, থাকতে চান না রাজনীতিতেও। সংসদের দুটি কমিটি থেকে ইস্তফার পরই মিমি-কে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।” এই সংবাদের পর শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৬৭ জন নেটনাগরিক মন্তব্য করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। তাতে মিমির প্রতি সমমর্মিতার যেমন প্রকাশ পেয়েছে, তেমনই প্রকাশ পেয়েছে তাঁর বা তৃণমূলের প্রতি ক্ষোভ।

তিনি বলেছেন, “আমি মিমি চক্রবর্তী। আমার জীবন অধ্যায়ের অধিকাংশ সময় অভিনয় জগতে থেকে মানুষকে মনোরঞ্জন দিতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু বিগত ৫ বছর, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্রের একজন সাংসদ রূপে যতটা কাজ সাধারণ মানুষের জন্যে করতে পেরেছি, মানুষের করের টাকা সঠিক ভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, সৎপথে থেকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে গেছি… সেই সফরের কথা মনে করলে মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয়। তাই আনন্দের সাথে বিগত পাঁচ বছরের আমার সাংসদ রূপে যাবতীয় কাজের খতিয়ান আজ জনসমক্ষে তুলে ধরলাম।

আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমার নেত্রী, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে, তার স্নেহের হাত আমার মাথায় সর্বক্ষণ রাখবার জন্য। আগামী দিনে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, আমার কাজের মাধ্যমে আমি নিশ্চিতরূপে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় থাকব।”

প্রতিক্রিয়ায় ঝন্টু চ্যাটার্জি লিখেছেন, “মিমি ইস্তফা দিয়ে সন্দেশ খালির মায়েদের সম্মান জানিয়েছেন, খুব ভালো।” শরৎ দেবশর্মা লিখেছেন, “মিমির চক্রবর্তী বুঝতে পেরেছেন পশ্চিমবাংলার অবস্থা, তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন ভালো উদ্যোগ।” পলাশ ধারা লিখেছেন, “যাদবপুরের জনগন এর জন্য ওনলি।”

সঞ্জীব মণ্ডল লিখেছেন, “খুব ভালো সিদ্ধান্ত মিমি চক্রবর্তীকে ধন্যবাদ জানাই।” শঙ্কর মিশ্র লিখেছেন, “আবার টিকেট পাবার কৌশল?”

তাপস মণ্ডল লিখেছেন, “খুব ভালো সিদ্ধান্ত মিমি চক্রবর্তীকে ধন্যবাদ জানাই।”

অশোক বোস লিখেছেন, “শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়ার জন্য ধন্যবাদ”। কাঞ্চন ভট্টাচার্য লিখেছেন, “সুবুদ্ধি উদয় হয়েছে।” নীলাদ্রি মুখার্জি লিখেছেন, “এখন কদিন এই রকম নাটক চলবে। দেব এর নাটক শেষ মিমির নাটক শুরু। তারপর আসবে নুসরত জাহান।”

প্রিতম সরকার লিখেছেন, “নাটক, এখন ইস্তফা দেয়া আর না দেয়া সমান। লোকসভা ভোট সামনেই।”

অনুপ কুমার সেন লিখেছেন, “মিমি যদি বলতো সন্দেশখালির প্রতিবাদে এই পদত্যাগ তাহলে বিশ্বাসযোগ্য হতো। মিমি যদি এই পদত্যাগ উঠিয়ে না নেয় তাহলে দেবের মুখে চুনকালি পড়বে।” কৃষ্ণেন্দু ব্যানার্জি লিখেছেন, “এবার দাঁড়ালেই হারবেন সেটা বুঝতে পেরেছেন। কত সহজে মুখ দেখিয়ে এরা সারা জীবনের একটা সুরক্ষিত পেনশন আদায় করে নিলেন!”

তিলক দাশগুপ্ত লিখেছেন, “ঠিক থেকে যাবে, যাবে কই?” শ্যামল কুমার ঘোষ লিখেছেন, “আগে থেকে সরে যাচ্ছে। সামনের দিন ভালো না।” তুষার জানা লিখেছেন, “একদম দেবের মতো নাটক।” জিয়া রায় লিখেছেন, “ঠিক কাজ করেছেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *