কলকাতা, ১৩ ফেব্রুয়ারি, (হি.স.): সন্দেশখালির ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করল কলকাতা হাই কোর্ট। সেখানকার পরিস্থিতি দেখে ‘বিচলিত’ বিচারপতি। ইতিমধ্যে আদালত বান্ধব নিয়োগ করেছেন তিনি। রাজ্যের কাছে রিপোর্টও চেয়েছে হাই কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ ফেব্রুয়ারি।
সন্দেশখালির দু’টি বিষয় নিয়ে তিনি বিচলিত বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়। বিচারপতি বলেন, ‘‘সন্দেশখালির দু’টি ঘটনায় আমি শিহরিত। প্রথমত, অধিবাসীদের জমি দখল করার অভিযোগ। দ্বিতীয়ত, সেখানকার মহিলাদের মাথায় বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে আদালত এই মামলা নিচ্ছে।’’
সন্দেশখালি নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ করার এটিই সঠিক সময় বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি সিংহরায়। তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘মানুষ রাতে ঘুমোতে যায় এটা ভেবে যে, মাথার উপর আদালত রয়েছে। এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করার এটাই সঠিক সময়।’’
সন্দেশখালির ঘটনার মামলায় আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়কে আদালত বান্ধব হিসাবে নিয়োগ করেছে আদালত। আগামী শুনানিতে সরকারি আইনজীবী দেবাশিস রায়কে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি সিংহ রায়। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
শাহজাহান শেখের বাড়িতে ইডি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত। দীর্ঘদিন ধরে সংবাদ শিরোনামে সন্দেশখালি। গত তিনদিন ধরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। লাঠি, ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নেমেছেন শাহজাহান ও তাঁর সাগরেদদের গ্রেফতারির দাবিতে।

