ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ ফেব্রুয়ারি।। সত্যের জয় হচ্ছে এবং হবে। জয়ের মুকুটে আজ আরও একটা পালক সংযোজিত হলো। আরেকটা জয় অপেক্ষা করছে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির জন্য। সিট অর্থাৎ স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টীম গঠনের মধ্য দিয়ে জয়যাত্রা শুরু। পরবর্তী জয় উচ্চ আদালত থেকে যখন এপেক্স কাউন্সিল বডি ভেঙ্গে দিয়ে শেষ পর্যন্ত অকালে ৬ সদস্য বিশিষ্ট টিসিএ-র অফিস বেয়ারার এবং কাউন্সিলর বাছাইয়ের জন্য নির্বাচন ঘোষণা করা হলো। তৃতীয় জয় হল ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে, যেদিন রাজ্যের সর্ববৃহৎ ক্রীড়া সংস্থা ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনকে ঘিরে সংস্থার আট জন প্রাক্তন পদাধিকারী এবং একটি কোম্পানির সেলস ম্যানেজার ও খোদ ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা গৃহীত হয়েছে। আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ও তার ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রত্যাশিত (নাম স্থির হয়নি) প্যানেলের জয়জয়কার হবে চতুর্থ জয়। অনেকটা এভাবেই ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশন অনুমোদিত চৌদ্দটি ক্লাবের মধ্যে একটি ক্লাব বাদ দিয়ে ১৩ টি ক্লাবের প্রতিনিধিবর্গ এবং ১৮ টি অনুমোদিত মহকুমা সংস্থার মধ্যে ১৪ টি মহকুমা সংস্থার প্রতিনিধিবর্গের সম্মিলিত সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখপাত্র হিসেবে সেবক ভট্টাচার্য ব্যক্ত করেন। অভিযোগ, গত বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই টিসিএ-তে কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে মূলতঃ প্রায় ১০ কোটি টাকা আর্থিক নয়-ছয় এর কারণেই সম্প্রতি মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা গৃহীত হয়েছে বলে খবর হয়েছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ পুলিশ স্টেশন ৭ ফেব্রুয়ারি, বুধবার রাতে দায়ের করা মামলার নম্বর ০১/২০২৪। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ৪০৯ এবং ৪২০ ধারায় মামলাটি গৃহীত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। ক্রাইম ব্রাঞ্চ পুলিশ স্টেশন থেকে স্বত:প্রণোদিত মামলাটি গ্রহণ করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে আজ উপস্থিত প্রত্যেকেই এ বিষয়ে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাইছেন। পাশাপাশি সিট, মিডিয়া এবং রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক বিভাগ সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।