৯ দফা দাবিতে জাতীয় পতাকা সহ  মিছিল সংগঠিত হয়েছে

আগরতলা, ২৭ জানুয়ারি: সংযুক্ত কিষান মোর্চা ও কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলির আহ্বানে সর্বভারতীয় জন জাগরন কর্মসূচির  অঙ্গ হিসেবে কমলপুর মহকুমার শান্তিবাজারে  ৯ দফা দাবিতে জাতীয় পতাকা সহ  মিছিল সংগঠিত হয়।  

মিছিলটি উত্তর বাজার, ভিতরবাজার থেকে দক্ষিন বাজার হয়ে শান্তিরবাজার পার্টি অফিসের দিকে আসার পথে  মধ্যবাজারে বিজেপির কিছু লোকজন হাতে লাঠি নিয়ে রাস্তা আটকে বিশ্রী ভাষায় গালাগাল দিতে থাকে বলে অভিযোগ। তখন পুলিশ মিছিল আটকে দেয়।এরপর বিজেপির সমর্থকরা মিছিলে আক্রমন সংগঠিত করলে চারজন শ্রমিক-কৃষক নেতৃত্ব আহত হয় বলে অভিযোগ করা হয়। 

শান্তিরবাজার পার্টি অফিসের চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন সামগ্রী, চারটি বাইক ভাংচুর করে অফিসের সম্মুখে প্রচার সজ্জা নষ্ট করে দিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে ।এই  মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত কৃষক সভার সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি বিপ্লব মজুমদার, কমলপুর মহকুমার নেতৃত্ব অঞ্জন দাস, বদরবোম হালাম,জগদীশ দেববর্মা, রনবিজয় দত্ত, সুবীর দেব,রমনী মোহন দাস, দেবাশিষ দাস,লেহবা সিংহ, জয়দেব দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ও কর্মীরা ।এই আক্রমনের পর প্রাক্তন বিধায়ক অঞ্জন দাস প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন ৭৫ তম সাধারণতন্ত্র দিবসে শাসকদলের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে ১০ টি অঞ্চলে সংবিধান বাঁচাও  দিবস হিসাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ,জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ ও শপথ বাক্য গ্রহণের পর  কর্পোরেট লুট খতম করো এবং কৃষক বাঁচাও-দেশ বাঁচাও দেশব্যাপী এই আহবানে মিছিলে আক্রমন করে তাদের সন্ত্রাসী ও সৈরচারী চেহারা উন্মোচিত হলো।

ডাবল ইঞ্জিনের সরকার তাদের প্রতারণা ,দুর্নীতি,সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসের ফলে প্রতিনিয়ত জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে ।শান্তিরবাজারের এই ঘটনায় শাসক দল আরো জনবিচ্ছিন্ন হবে।২০২৩ সালের  বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘিষ্ট ভোটের সরকার  হয়েছে। তারপর ও এই দল শিক্ষা নেয়না।এইভাবে গণতন্ত্র হত্যা করে বেশীদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।যে ৯দফা দাবীর কর্মসূচী ছিল, সেগুলি আমজনতার জরুরী ও জনপ্রিয় দাবী।এই দাবী গুলি নিয়ে দেশের ৫০০ জেলায় ট্রাক্টর মিছিল ও কিষান মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এমন  শান্তিপূর্ণ মিছিলে এমন বর্বর ঘটনা সম্ভবত কোথাও হয় নি।তিনি  বলেন এই সমস্ত ঘটনার বিচার বিচার জনগণ নিশ্চই করবে।

তিনি বলেন বিগত ৩৫ বছরের বামফ্রন্টের রাজত্বে অবাধ গণতন্ত্র ছিল ।তখন বিরোধীদল গুলি অবাধে ও শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচী করতে পারত ।জনগণ এই বিষয়গুলি মূল্যায়ন করছেন এবং সময়মত মোক্ষম জবাব দেবেন ।