সোমবারের জন্য স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করল পুলিশ

কলকাতা, ২০ জানুয়ারি (হি.স.): সোমবার ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় নতুন রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। তা নিয়ে ইতিমধ্যে সারা পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারই পাল্টা হিসাবে সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন। এই দ্বৈরথের মধ্যে হিংসা ও অশান্তির আশঙ্কা যখন তৈরি হয়েছে, তখন স্পর্শকাতর এলাকাগুলি চিহ্নিত করে ফেলেছে রাজ্য পুলিশ।

সূত্রের খবর, গোয়েন্দা তথ্য ও সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার অভিজ্ঞতার ভিত্তি থেকে এই সব এলাকাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনার ব্যারাকপুর, বারাসত ও বসিরহাট, হাওড়া শহর ও গ্রামীণ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার, হুগলির চন্দননগর ও হুগলি গ্রামীণ, নদিয়ার কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর, ইসলামপুর, রায়গঞ্জ, মালদা এবং শিলিগুড়ি।

শনিবার পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ তারিখের প্রস্তুতি নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের বৈঠকে ডেকেছিলেন ডিজি রাজীব কুমার। তিনি বৈঠকে জানিয়েছেন, বিরোধী দলনেতা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় উচ্চ আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। দুই, ওই দিন পুলিশের অনুমতি ছাড়া কোনও মিছিল করতে দেওয়া যাবে না। তিন, যেসব এলাকাকে অধিকতর স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে।

ডিজি ওই বৈঠক করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্পর্শকাতর এলাকা ধরে ধরে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশিকা জারি হয়ে যায়। তাতে অবশ্য বলা হয়েছে, এই যে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে, তারা যেন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে না যান। ঢাল, লাঠি, হেলমেট, বডি প্রোটেকটিভ গিয়ার ইত্যাদি নিয়ে যেতে হবে।

সূত্রের খবর, অতিরিক্ত যে বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে তার মধ্যে রাফের সংখ্যাই বেশি। এ ছাড়া অন্যান্য বাহিনীও থাকছে। তা ছাড়া স্পর্শকাতর এলাকার প্রতিটি থানাকে সতর্ক করা হয়েছে।

নবান্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসন ও পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছেন, যে কোনও মূল্যে সুষ্ঠু পরিবেশ রাখতে হবে। কেউ অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলে যেন তা কড়া হাতে দমন করা হয়।