BRAKING NEWS

রেগার মজুরির টাকা চাইতে গিয়ে উপ-প্রধান গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল এক পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে,

নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ১৬ জানুয়ারি : রাজ্যে বিরোধী দলের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। একই দলের বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে।
শনিছড়া নদীয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্নীতি পত্র-পত্রিকায় বেশ কয়েকবার প্রকাশিত হয়েছে। তবুও পঞ্চায়েতের যে পরিবর্তনটুকু আশা করা গিয়েছিল এবং মানুষের উন্নয়নে কাজ করবে বলে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা ছিল সম্পূর্ণ প্রত্যাশায় জল ঢেলে দিয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধানরা তাদের মর্জি মাফিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন করে ন্যায্য পাওনা পাওয়া তো দূরের কথা উল্টো ন্যায্য রেগার মজুরী চাইতে গেলে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় পঞ্চায়েত অফিস থেকে।

নদিয়াপুর শনিছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য শামীনা বেগম। মোট পঞ্চায়েতে ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছে। সামিনা বেগমের স্বামী আওর আলী( ৭০ )। সে ৩০ দিন রেগার কাজ করার পর প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। বারে বারে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে মজুরির টাকার আবেদন জানিয়ে ব্যর্থ হয়েছে।

অবশেষে মজুরির টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলে নালিশ জানাবে এই ভেবে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে প্রথমে প্রধান লক্ষিন্দর সিংহাকে বলে তিনি নিরুপায় ভাব প্রদর্শন করায় উপপ্রধান অযোদ্ধাকান্ত দাস এর কাছে মজুরির টাকার আবেদন জানায়। তখন পাশে আরপিএম বিপ্লব দাস উপস্থিত ছিলেন। তার আবেদনে উপ-প্রধান এবং আরপিএম বিলুপ্তি প্রকাশ করেন।

 উপপ্রধান ৭০ বছরের বয়স্ক আউর আলীকে গলা ধাক্কা দিয়ে পঞ্চায়েত অফিস থেকে বের করে দেয় এবং সাবধান করে দেয় এই ব্যাপারে কথাবার্তা কম বলার জন্য। লজ্জায় অপমানে সরল স্বভাবের আউর আলী টাকা না পেয়ে বাড়িতে ঘুরে যায়।

সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে। এই সব অপরাধের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা প্রয়োজন বলে দাবি শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *