আগরতলা, ২ জানুয়ারি : গতকাল অবশেষে অভিমান ছেড়ে পুনরায় বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন প্রদেশ ডাক্তার সেলের প্রভারী তমোজিৎ দেবনাথ। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলে অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার রাজ্য বিজেপি অন্য ছকে এগিয়ে চলেছে। সবকা সাথ সবকা বিকাশ এই মন্ত্রকে সামনে রেখে সবাইকে একমঞ্চে এনে পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা নির্বাচনে জয়ের ব্যবধানকে আরও বাড়িয়ে তুলতে ময়দানে শাসক দল তথা বিজেপির নেতৃত্ব। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবে বিধানসভা নির্বাচনে কিছু কিছু বিধানসভার আসন অল্প ভোটের ব্যবধানে বিজেপির হাতছাড়া হয়েছিল। যত দিন যাচ্ছে দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও বিজেপি দল নিজেদেরকে শক্তিশালী করে তুলছে।
তাই বছরের শুরুতে ১ জানুয়ারি প্রদেশ বিজেপি অফিসে প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য এবং প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত বিজেপি দলের পতাকা দিয়ে ঘরের ছেলেকে পুনরায় ঘরে তুলে নিল। ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্যর ফলে প্রদেশ বিজেপি ডঃ সেলের প্রভারি ডঃ তমোজিৎ নাথ এলাকার যুব সংগঠন এবং জনজাতিদের সঙ্গে নিয়ে একসাথে দল ত্যাগ করেছিল।
ফলস্বরূপ, ৯২ সালের পরে উপনির্বাচনে যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রটি বিজেপি দলের প্রার্থী মলিনা দেবনাথ সাড়ে চার হাজার ভোটে জয়ী হওয়ার পর, ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে ন্যূনতম প্রায় ৬০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়। শাসক দলের মধ্যে অন্তরখাতকে সাঙ্গ করে সংগঠনহীন বামফ্রন্টের শৈলেন্দ্র কুমার দেবনাথ বিজয়ী হয়েছিল। সারা রাজ্যে বামফ্রন্টের হাহাকার থাকলেও কোন ধরনের উন্নয়নমূলক মনোবৃত্তি ছাড়াই বামফ্রন্ট এই আসনটি নিজেদের অনুকূলে এনেছিল। যা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বোকা বানিয়ে দিয়েছিল।
এবার প্রদেশ নেতৃত্ব একেবারেই পূর্বের ভুল করতে রাজি নয়। তাই যারা দলের প্রকৃত সমর্থক সেইসব ঘরের ছেলেদের পুনরায় ঘরে ঘুরিয়ে নিয়ে নিজেদের দলকে শক্তিশালী বানিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনে বিজেপির জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে আসনটি নিশ্চিত করে মোদিকে উপহার দিতে চাইছে।
ডাক্তার তমোজিৎ নাথ পুনরায় ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসায় একদিকে যেমন এলাকার বসে যাওয়া যুব সমাজরা পুনরায় কাজ করার শক্তির যোগান পেল তেমনি আনন্দবাজার, বালিধুম ,মধুবনের মত এলাকারজনজাতি এলাকার জনজাতিরা পুনরায় বিজেপি দলের প্রতি আস্থা অর্জন করে দলের ভিতকে শক্ত করতে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। তাই এই কেন্দ্রে বামফ্রন্টের বিধায়ক থাকলেও লোকসভা নির্বাচনে শাসক দলের পক্ষে জয়ের ব্যবধানটা এই এলাকায় একলাফে বেশ বেড়ে যাবে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

