রাতের আঁধারে স্ত্রী সহ তিন কন্যাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা বাবার, অল্পেতে রক্ষা পেল চার প্রাণ

নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ৩০ ডিসেম্বর : স্বামী  নিজের স্ত্রী এবং তিন কন্যা সন্তানকে রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা করেছিল। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। যদিও বড়সড় অঘটন থেকে রক্ষা পেয়ে যায় স্ত্রী এবং তিনটি কন্যা সন্তান। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে।

শনিবার রাত দেড়টায় ধর্মনগরের অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর অফিসে একটি ফোন আসে যে আল্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ওয়ার্ডে মূল রাস্তার পাশে একটি বাড়িতে আগুন লেগেছে। সাথে সাথে অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর কর্মীরা প্রথমে একটি ইঞ্জিন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু আগুনের প্রকোপ অতিরিক্ত থাকায় আরেকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর দুটি ইঞ্জিন এবং এলাকার গ্রামবাসীদের একান্ত প্রয়াসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিপ্লব চক্রবর্তী এর স্ত্রী নমিতা গোস্বামী সরাসরি অভিযোগ করেন যে এই আগুন তার স্বামী বিপ্লব চক্রবর্তীই লাগিয়েছে। রাত ১১ টায় নমিতা গোস্বামী তার তিন কন্যা সন্তানকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমাতে গিয়েছিলেন। আর কিছু বলতে পারেনি।

পরবর্তী সময় আগুনের প্রকোপে এবং মানুষের চিৎকারে তার ঘুম ভাঙ্গে। কোনক্রমে তার তিনটি কন্যা সন্তানকে আগুনের প্রকোপ থেকে রক্ষা করে। বাকি সব আসবাবপত্র আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।

নমিতা জানিয়েছেন,  তার স্বামী বিপ্লব চক্রবর্তী আগেও কয়েকবার আগুন লাগানোর প্রচেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিত্ব সিন্ধু চক্রবর্তীকে সাথে নিয়ে নমিতা ধর্মনগর থানায় বিপ্লবের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছে। মহিলার স্বামী তাদের সাথে থাকেনা বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রায়ই নেশাগ্রস্থ অবস্থায় থাকে এবং তাদেরকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করেছেন নমিতা।

অসহায় নমিতা গোস্বামী মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করে তিনটি কন্যা সন্তানকে লালন-পালন করছে এবং পড়াশোনা করিয়ে যাচ্ছে। অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর কথা অনুযায়ী এই আগুন পেট্রোল ঢেলে লাগানো হয়েছে।
 এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তিত্বরা আগে বেশ কয়েকবার বিপ্লবকে বুঝিয়ে তাদের ঝামেলার নিষ্পত্তি করিয়ে দিয়েছিল বলেও খবর। কিন্তু বাস্তবে কিছুই লাভ হয়নি। এধরনের ঘটনায় বিপ্লব চক্রবর্তীর নিকৃষ্ট মানসিকতায় ছি ছি রব উঠেছে। পুলিশ তাকে আটক করে কঠিন শাস্তি প্রদান করুক দাবি শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের।