নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ ডিসেম্বর।। মনোজ্ঞ এবং তাৎপর্যপূর্ণ এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি আয়োজিত বিজয়ের কবিতা উৎসব’২৩ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক শংকর সাহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আগরতলার সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পাপড়ি হালদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশের তোহা চৌধুরী, বিশিষ্ট গবেষক গোপাল চন্দ্র দাস।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ খান আখতার হোসেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা বিশিষ্ট কবি সঙ্গীতা দেওয়ানজী।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, আগরতলা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করেছিল। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদান অনস্বীকার্য। বর্তমান প্রজন্মকে এই দুই মহান নেতার কার্যক্রম, চিন্তা চেতনা, দেশপ্রেম, দুই দেশের বন্ধুত্ব তুলে ধরতে গাঙচিল যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা ধন্যবাদের যোগ্য। বর্তমান প্রজন্ম জানুক স্বাধীনতা হঠাৎ করে আসেনি স্বাধীনতা আনতে ৩০ লক্ষ শহীদের প্রাণ দিতে হয়েছে যেমন বাংলাদেশের তেমনি ভারতের দশ হাজার সৈনিকের জীবন দিতে হয়েছে। গাঙচিল আয়োজিত বিজয়ের কবিতা উৎসবের মাধ্যমে সবাই জানুক এ বিজয় অর্জন কতটা কঠিন ছিল।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সঞ্চালক সুপ্রভাত দেবনাথের উপস্থাপনে বক্তব্য রাখেন ও আলোচনায় অংশ নেন সংগীত শিল্পী গোপা রায়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কেশবলাল রায়, চন্দন ভৌমিক প্রমুখ। পরবর্তী সময়ে সম্মিলিত সভা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে ড. নারায়ণ ভট্টাচার্যকে সভাপতি এবং সঙ্গীতা দেওয়ানজিকে সাধারণ সম্পাদক, সুপ্রভাত দেবনাথকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট গাংচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ, ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই দেশের মৈত্রী ও সম্প্রীতি অটুট রাখার লক্ষ্যে গাংচিল সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদকে মাধ্যম করে অকৃত্রিম প্রয়াস জারি থাকবে বলে কমিটির প্রত্যেকে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।