উত্তর ২৪ পরগনা, ২৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : রামমন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে যখন দেশের নানা প্রান্তে উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল তীর্থস্থানের উন্নয়নের নানা খতিয়ান।
বৃহস্পতিবার রামমন্দিরের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আসার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। ঘুরে দেখবেন রামকথা পার্ক। এই নিয়ে যখন গোটা দেশে হইচই, সেই সময় চাকলায় পুজো দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চাকলার লোকনাথধামে পুজো দেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘ছোট ছোট তীর্থস্থানগুলির জন্য ৪০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। শুধুমাত্র দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকে ৮০-৯০ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। কালীঘাটেও স্কাইওয়াক হচ্ছে।’
তীর্থ পর্যটনের দিকে যে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হয়েছে, সে কথা স্পষ্ট ভাবে উঠে আসে মমতার বার্তায়। বলেন, ‘কয়েকদিন বাদে গঙ্গাসাগর মেলা আছে। আগে থাকার জায়গা ছিল না। আজ আমূল বদলে গিয়েছে।’
দেশ-বিদেশের বহু মানুষ যে পর্যটনের জন্য পশ্চিমবঙ্গের কথা বলেন এমনও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিন তাঁর কথায় বিশেষ ভাবে তীর্থ পর্যটনের দিকটি প্রাধান্য পায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলায় তীর্থ-পর্যটনের ৪০০টি জায়গা রয়েছে।’
তীর্থ পর্যটনের উন্নয়নে যে তৃণমূল সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে তা বোঝাতে একের পর এক খতিয়ান দেন তিনি। মমতার বার্তা, কোনও একটি ধর্মের দিকে নয়, সমস্ত ধর্মের সমন্বয় ও তীর্থ-পর্যটনের উন্নয়নেই জোর দিয়েছে তাঁর সরকার।
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের সময় ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করব, ধর্মের নামে নিষ্পেষণ করব। এটা ধর্ম নয়। ধর্ম মানে সকলকে কাছে টেনে নিয়ে সকলকে ভালোবাসা।’ জানুয়ারি মাসে রামমন্দির উদ্বোধন ও তার পর সাধারণ নির্বাচনের মুখে তৃণমূলনেত্রীর এই বার্তার মধ্যে সুনির্দিষ্ট অন্য তাৎপর্য রয়েছে মনে করে রাজনৈতিক মহল।