যাদবপুরের উপাচার্যর পদ নিয়ে প্রশ্ন

কলকাতা, ২৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : নিজে নিয়োগ করে, নিজেই বরখাস্ত করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার পরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বুদ্ধদেব সাউ। বরখাস্ত হওয়ার পর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বুধবার তাঁকে নীলবাতি লাগানো গাড়িতে চেপে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেখা গেল। প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে তিনি উপাচার্যর পদ আঁকড়ে আছেন?

কোর্ট বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি বুদ্ধদেবের। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ‘জুটা’ তাঁর এই দাবির সঙ্গে একমত নয়।

ফ্ল্যাশার বিহীন নীলবাতির গাড়ি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের। সেই মতোই এদিন নীলবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেখা যায় বুদ্ধদেবকে। গাড়িতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীকচিহ্নও লাগানো ছিল। রাজ্যপাল যাঁকে বরখাস্ত করেছেন, তিনি এখবও অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন কী করে, উঠছে প্রশ্ন।

জবাব দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেছেন বুদ্ধদেব। তাঁর বক্তব্য, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বড় যে কোর্ট, সেখানে দু’টি চিঠি ফেলা হয়েছিল, তার নিরিখে ঠিক হয়েছে উপাচার্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়া যাবে।” যদিও জুটা-র দাবি, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অনুমোদন দেওয়া হলেও, তার পর অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি বুদ্ধদেবকে। ফলে গোটা ঘটনায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *