নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ২১ ডিসেম্বর : উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরে এক মহিলাকে মারধর করার ঘটনার পর পুলিশ মামলা গ্রহণ করলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে নিজেদের মধ্যে চূড়ান্ত মারপিট এর ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ধর্মনগরের উত্তর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসাধীন নমিতা চৌধুরী(৪৩)। তাঁর স্বামী রূপক চৌধুরী, ধর্মনগরের জেলরোডের ছড়ার পাড়ের বাসিন্দা ।
নমিতা চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে জীবন ত্রিপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রাধুনীর কাজ করেন। ১৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দশটা নাগাদ যখন নমিতা চৌধুরী বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল তখন তাদেরই আত্মীয় রাখাল নাথ, রাখাল নাথের ছেলে রানু নাথ, তার ভাই ভাই গোপাল নাথ এবং অপর এক আত্মীয় রাজেন্দ্রনাথ কোদাল, লোহার রড নিয়ে নমিতা চৌধুরীর উপর আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। তাতে মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে নমিতা দাসের। তাঁর কাপড় ধরে টানা হিচরা করে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে লোহার রড দিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে অভিযুক্তরা।
চিৎকার শুনে নমিতা চৌধুরীর ভাই আসলে তাকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে মেয়ে নিভারানি দেব ছুটে এসে নমিতা চৌধুরীকে রক্ষা করে এবং সঙ্গে সঙ্গে ধর্মনগরে উত্তর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য আগরতলা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও এখনো নমিতা চৌধুরী ধর্মনগরের হাসপাতালের চিকিৎসাধীন। এদিকে ১৮ ডিসেম্বর নমিতা চৌধুরীর পক্ষ থেকে রাখাল নাথ, রানু নাথ, গোপাল নাথ এবং রাজেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হলেও এখন পর্যন্ত তাদেরকে বিরুদ্ধে পুলসিব কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করছে না বলে অভিযোগ। এতে ধর্মনগর থানার পুলিশের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।