কলকাতা, ১৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : পুকুর বোজানো বন্ধ করতে সতর্ক হওয়ার জন্য আগেই পুরসভার তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুলিশকে। তারপরেও পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে লরিতে করে আর্বজনা নিয়ে গিয়ে পুকুর বোজানোর কাজ চলছিল বলে অভিযোগ পেয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে সোমবার সকালে অভিযানে নামেন ফিরহাদ। মাঝেরহাট ব্রিজের কাছে রাস্তায় আর্বজনার গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায় কলকাতার মেয়রকে। হাতেনাতে ধরেন পাঁচটি গাড়িও। গাড়িগুলিকে ট্রাফিক পুলিশের হাতে তুলে দিলেও পুলিশের ভূমিকায় নিজের ক্ষোভ চেপে রাখেননি ববি।
ফিরহাদের কথায়, “এইভাবে যদি আমাদের একা দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়, পুকুর বোজানোর বন্ধ করা তো অসম্ভব। পুলিশ কমিশনারকে বলব- কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করুন। তা না হলে জয়াশয় বোজানোর রোগ আটকানো যাবে না।”
শহরে বহু পুরনো বাড়ি ভেঙে সেখানে তৈরি হচ্ছে বহুতল। পুরনো বাড়ির ভাঙা আর্বজনা পুকুরে ফেলার প্রবণতা রয়েছে একাংশের। এই ধরনের প্রবণতা রুখতে এবং পুকুর বোজানো ঠেকাতে ইতিমধ্যে বিশেষ প্লান্ট বানিয়েছে পুরসভা।
ফিরহাদ বলেন, “সিএনডি (কন্সস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেমোলিশন) প্লান্ট বসিয়েছি। কেউ বাড়ি ভাঙলে সেখানে আর্বজনা ফেলবে। তারপরেও এতগুলো আবর্জনার গাড়ি দক্ষিণ কলকাতার ভেতরে ঢুকছিল কী করে?” বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাবেন বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। একই সঙ্গে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে নিশ্চয়ই বলব, তবে মুখ্যমন্ত্রীরও কিছু করার থাকবে না, যদি নীচুতলা সক্রিয় না হয়।”