স্বরবেদ মন্দির ভারতের সামাজিক ও আধ্যাত্মিক শক্তির একটি আধুনিক প্রতীক : প্রধানমন্ত্রী

বারাণসী, ১৮ ডিসেম্বর (হি.স.): উত্তর প্রদেশের বারাণসীর উমরাহ-তে নবনির্মিত স্বরবেদ মহামন্দির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই মহামন্দির উদ্বোধন করার পর মন্দির ঘুরেও দেখেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, “স্বরবেদ মন্দির ভারতের সামাজিক ও আধ্যাত্মিক শক্তির একটি আধুনিক প্রতীক। এই মন্দিরের দেওয়ালে স্বরবেদ সুন্দরভাবে খোদাই করা আছে। বেদ, উপনিষদ, রামায়ণ, গীতা ও মহাভারত প্রভৃতি গ্রন্থের ঐশ্বরিক বার্তাগুলিও ছবির মাধ্যমে চিত্রিত করা হয়েছে। তাই এই মন্দির আধ্যাত্মিকতা, ইতিহাস ও সংস্কৃতির জীবন্ত উদাহরণ।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “ভারত এমন একটি দেশ, যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিশ্বের জন্য অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং বৈষয়িক উন্নয়নের উদাহরণ। আমরা অগ্রগতির নিদর্শন তৈরি করেছি এবং সমৃদ্ধির মানদণ্ড নির্ধারণ করেছি।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, “ভারত কখনই বস্তুগত উন্নতিকে ভৌগলিক সম্প্রসারণ ও শোষণের মাধ্যম হতে দেয়নি। আমরা বস্তুগত উন্নতির জন্য আধ্যাত্মিক এবং মানবিক প্রতীকও তৈরি করেছি। আমরা কাশীর মতো প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আশীর্বাদ পেয়েছি।” মোদী যোগ করেছেন, “আমরা যদি আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে সম্মান করতাম, তাহলে দেশের অভ্যন্তরে ঐক্য ও আত্মমর্যাদাবোধ আরও শক্তিশালী হতো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি। স্বাধীনতার পরে, এমনকি সোমনাথ মন্দিরের পুনর্নির্মাণের বিরোধিতা হয়েছিল এবং এই চিন্তাভাবনা কয়েক দশক ধরে দেশে আধিপত্য বিস্তার করেছিল।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “এখন স্বাধীনতার ৭ দশক পর আবারও ঘুরেছে সময়ের চাকা। দেশ এখন লাল কেল্লা থেকে ঘোষণা করছে দাসত্বের মানসিকতা থেকে মুক্তি এবং ঐতিহ্যের প্রতি অহংকার। সোমনাথ থেকে শুরু হওয়া কাজ এখন অভিযানে পরিণত হয়েছে।”