হাফলং (অসম), ১৬ ডিসেম্বর (হি.স.) : রাজ্যের নির্বাচন কমিশন উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার পর থেকে ডিমা হাসাও জেলায় নির্বাচনী উত্তাপ বেড়ে গেছে। এরই অঙ্গ হিসেবে আজ শনিবার ডিমা হাসাও জেলা সদর হাফলঙে কংগ্রেস ও বিজেপি ছেড়ে ৫০-এর বেশি নেতা-কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন।
আগামী ৮ জানুয়ারি উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের নির্বাচন। পরিষদীয় নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী ২১ ডিসেম্বর। তবে এখন পর্যন্ত কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস, কোনও দলই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি।
এদিকে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল এএসডিসি এবারের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। কোনও আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না এএসডিসি। এর মধ্যে নির্বাচনের মুখে ডিমা হাসাও জেলায় দল-বদলের পালা অব্যাহত রয়েছে। আজ তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে দলের জেলা সভাপতি আচিং জেমি, সাধারণ সম্পাদক সেথমিনথাং খংসাই এবং দলীয় অন্য নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সদস্য তথা ডিমা হাসাও জেলা বিজেপির কার্যনির্বাহী সদস্য নামসেই হেংনা, ডিমা হাসাও জেলা কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সদস্য লালনেইসিয়েম হেনাং সহ মাহুর মণ্ডল কংগ্রেসের সভাপতি সম্পাদক ও মাহুর মণ্ডল কংগ্রেসের সকল সদস্য নেতা কর্মী একযোগে তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করেছেন।
এদিকে এই যোগদান কার্যসূচির পর তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আচিং জেমি সাংবাদিকদের বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান কার্যসূচি অব্যাহত রয়েছে এবং আগামী দিনেও থাকবে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি জানান, শনিবার কংগ্রেস ও বিজেপি দল ছেড়ে ৫০-এর বেশি নেতা-কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় দল আরও শক্তিশালী হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে আসন্ন নির্বাচনে।
আচিং জেমি বলেন, বিজেপি পরিষদের ২৮টি আসনের মধ্যে ২৮টি আসনেই জয়ী হবে বলে যে দাবি করছে, তা এত সহজ নয়। তিনি বলেন, বিজেপি পরিষদের ১৪টি আসনে বিজয়ী হবে কিনা, এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস এবার বিজেপিকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মুখে ফেলতে সক্ষম হবে বলে দাবি করে জেমি বলেন, এবার তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির নিদ্রা হরণ করতে সক্ষম হবে। বিজেপি দলে যে প্রার্থিত্ব কেন্দ্রিক সংঘাত রয়েছে এতে তৃণমূল কংগ্রেস লাভবান হবে।
বিজেপি দলের টিকিট-বঞ্চিতরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন বলে দাবি করে আচিং জেমি বলেন, বিজেপির অনেক নেতা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলছেন। টিকিট না পেলেই ওই সব নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন বলে জোরের সঙ্গে দাবি করেন আচিং।

