নিজস্ব প্রতিনিধি, সাব্রুম, ১০ ডিসেম্বর : পরকীয়া প্রেম সমাজকে অবক্ষয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আইনি গেরাকলের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এসব বিষয়ে সামাজিকভাবে ও প্রতিরোধ কিংবা প্রতিবাদ জানানো অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হচ্ছে না। এটি এক ভয়ঙ্কর প্রবণতায় পরিণত হচ্ছে।
দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুমে এধরনের দুটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা মোকদ্দমা চলছে। সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, স্বামী সন্তান ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়ে পর পুরুষের সাথে নতুনভাবে সংসার করছে গৃহবধূ।
সাব্রুম শহর এলাকায় এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।বিয়ের প্রায় তের বৎসর পর পরকীয়া প্রেমে জরিয়ে স্বামী ও বার বৎসরের মেয়েকে ঘরে ফেলে রেখে অন্য পুরুষের সাথে পালিয়ে সংসার করছে গৃহবধু। স্ত্রী আবার ভুল বুঝে ফিরে আসবে, এই আশায় প্রায় এক বৎসর অপেক্ষা করার পর ফের আইনের দ্বারস্ত হয়েছে স্বামী। ঘটনাটি ঘটে সাব্রুমের দমদমা এলাকাতে। স্বামীর নাম প্রনজিৎ ঘোষ। পেশায় অটো চালক। প্রায় তের বৎসর আগে মহকুমার শ্রীনগর এলাকা থেকে সামাজিক ভাবে সুপ্রিয়া পালের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি কন্যা সন্তানও হয়। এর মধ্যে গৃহবধূ সুপ্রিয়া পাল ঘোষ স্বামী ও মেয়েকে ফেলে রেখে অন্যত্র চলে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পর স্বামী প্রনজিৎ ঘোষ জানতে পারে, তার স্ত্রী সুপ্রিয়া পাল ঘোষ বর্তমানে আগরতলায় রয়েছে।
স্বামী প্রনজিৎ ঘোষের অভিযোগ নিশ্চয় তার স্ত্রী সুপ্রিয়া পাল ঘোষ অন্য পুরুষের সাথে সম্পর্ক তৈরী করে সংসার করছে। পেশায় অটো চালক প্রনজিৎ ঘোষ অভিযোগ করে আরো জানান, তার স্ত্রী সুপ্রিয়া পাল ঘোষ বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘরের সমস্ত স্বর্ণ অলঙ্কার সহ নগদ প্রায় বাহান্ন হাজার টাকা নিয়ে গেছে। গৃহবধূ সুপ্রিয়া পাল ঘোষ স্বামী ও মেয়েকে ফেলে রেখে চলে যাওয়ার প্রায় দেড় বৎসর পর ফিরে না আসায় এখন আইনের দ্বারস্ত হয়েছেন গৃহবধুর স্বামী প্রনজিৎ ঘোষ।
সাব্রুম শহর এলাকায় বাড়ি দেবব্রত দে। পেশায় স্কুল শিক্ষক। সারুমের নম:পাড়া এলাকা থেকে গঙ্গা দাসের সাথে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক বৎসর পর সাব্রুম মানিকগড় এলাকার কঙ্কন দাস নামে এক যুবকের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক জরিয়ে পরে তার স্ত্রী। এর পরে গৃহবধূটি পরকীয়াতে জড়িয়ে যাওয়া যুবকটির সাথে পালিয়ে যায়। বর্তমানে পালিয়ে যাওয়া যুবকটির সাথে গৃহবধূ গঙ্গা দাস আগরতলায় রয়েছে বলে জানা গেছে। গৃহবধূ গঙ্গা দাসের মেয়ে বর্তমানে নবম শ্রেনিতে পড়ে। স্কুল শিক্ষক দেবব্রত দে, অন্য যুবকের সাথে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় ছয় বৎসর পর আইনী ব্যবস্থা নিতে চলেছে বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ জেলায় এধরনের ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সামাজিক অবক্ষয়ের এই দৃষ্টান্ত ঘিরে চিন্তিত তথ্যবিজ্ঞ মহল।