আগরতলা, ৮ ডিসেম্বর : ২০১৮ সালের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন এমন ২৯ জনের তালিকা তুলে ধরে তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও চাকরি দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আর্জি জানিয়েছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক তথা বিধায়ক জীতেন্দ্র চৌধুরী। পাশাপাশি রাজ্য সরকার ২০১৮ সালের আগে পর্যন্ত রাজনৈতিক হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন এমন ১৫ জনের পরিবারে ১ জন করে সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়ার পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি।
সমালোচকদের মতে, বাম আমলে রাজনৈতিক হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চিন্তিত না হলেও, এখন সিপিএম ত্রিপুরা সরকারের পদক্ষেপ দেখে মায়াকান্না জুড়েছে। নিন্দুকেরা বলছেন, ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকলেও, রাজনৈতিক হিংসার বলি পরিবারদের জন্য ভাববার সময় পায়নি বামফ্রন্ট সরকার। এখন ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বিজেপি জোট সরকারের উপর চাপ তৈরির লক্ষ্যেই রাজনৈতিক হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের খুঁজে বের করছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত,বিজেপি-আইপিএফটি জোট ক্ষমতায় আসার পর ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ২০১৮ সালের মার্চের আগে রাজনৈতিকভাবে খুন হয়েছেন এমন পরিবারের পাশে দাঁড়াবে ত্রিপুরা সরকার। সেই পরিবারে একটি করে সরকারি চাকরি প্রদানেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এরজন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি স্ক্রুটিনি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই স্ক্রুটিনি কমিটি তদন্ত করে সুপারিশ করার পর চাকরি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ২৬টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এরমধ্যে স্ক্রুটিনি কমিটির তদন্ত সাপেক্ষে ১৫ জনের নাম সুপারিশ করেছে। যাদের পরবর্তীতে চাকরি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন মন্ত্রী রতনলাল নাথ।
আজ সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক তথা বিধায়ক জীতেন্দ্র চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডাঃ) মানিক সাহাকে লেখা চিঠিতে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি এদিন তিনি চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ৯ মার্চের পর থেকে এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক হিংসায় প্রাণ ২৯ জন প্রায় হারিয়েছেন। তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও একটি করে সরকারি চাকরি প্রদান করুক রাজ্য সরকার।

