আগরতলা, ২ ডিসেম্বর : সপ্তাহান্তে দিনের শুরুতেই ত্রিপুরাকে নাড়িয়ে দিয়েছে প্রকৃতি। রিখটার স্কেলে ৫.৬ তীব্রতার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে গোটা রাজ্য। বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় উৎপত্তি ওই ভুকম্পনে স্বাভাবিকভাবেই ত্রিপুরা সহ অসম ও উত্তরপূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যেও প্রভাব দেখা গেছে। ত্রিপুরায় এখনো ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেনি। তবে, অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘনঘন ভূমিকম্পের উৎপত্তিতে ত্রিপুরা সহ সমগ্র উত্তরপূর্বাঞ্চলকে গভীর দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
আজ সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ত্রিপুরা সহ অসম ও উত্তরপূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্য। আজ সকাল ৯টা ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলে তার তীব্রতা ৫.৬ রেকর্ড করা হয়েছে। তবে, ভূমিকম্প অনুভূত হলেও ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর এখনো মিলেনি।
বিমানবন্দর স্থিত আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় ভূপৃষ্ট থেকে ৫৫ কিমি গভীরে ছিল ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। বাংলাদেশে ওই ভূমিকম্পে রামগঞ্জ উপজেলা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, চুয়াডাঙ্গা, নোয়াখালী সহ বিভিন্ন স্থানে কম্পন অনুভব হয়েছে। তবে, সেখানেও ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর এখনো মিলেনি। তবে, অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘনঘন ভূমিকম্পের উৎপত্তিতে ত্রিপুরা সহ সমগ্র উত্তরপূর্বাঞ্চলকে গভীর দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
উল্লেখ, গত ২ অক্টোবর অর্থাৎ সোমবার বাংলাদেশের কিছু অংশে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৫.৪ তীব্রতা রেকর্ড করা হয়েছিল। মেঘালয়ের উত্তর গারো পাহাড়ে ১০ কিলোমিটার গভীরে ওই ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল। তাছাড়া , গত ১৪ অগাস্ট ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্য। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি অনুসারে , গত ১৪ অগাস্ট সোমবার রাত ৮টা ১৯ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূতি হয়েছিল। ওই ভূকম্পের উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের ১৬ কিলোমিটার গভীরে ছিল। ওই ভূকম্পনে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির দক্ষিণ-পূর্বে প্রভাব দেখা গিয়েছিল।
তেমনি, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রিখটার স্কেলে৪.২ তীব্রতার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিসমিক সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ওই দিন দুপুর ১২টা ৪৯ মিনিট নাগাদ বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায় ৫৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ওই ভূকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল।
তাছাড়া, ১৬ জুন বাংলাদেশে ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূতি হয়েছিল। ওই দিন সকাল ১০টা ১৬ মিনিটে ভূমিকম্প হয় এবং ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৭০ কিলোমিটার। রিপোর্ট অনুযায়ী, অসম সহ উত্তর- পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যেও ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছিল। তেমনি, ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী , গত ৫ মে বাংলাদেশে ৫.২ তীব্রতার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছিল। ওই ভূকম্পের উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের ৩৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল।

