বিক্রম, সুদীপের ব্যাটিং বিফলে ১ বল বাকি থাকতে রেলে কাটা ত্রিপুরা

ত্রিপুরা-‌২৮২/‌৭(৫০)

রেলওয়ে-‌২৮৬/‌৬(৪৯.৫)

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ ডিসেম্বর।। দুরন্ত লড়াই। ম্যাচের ফয়সালা হয় ১ বল বাকি থাকতে। তাতে জয় পায় রেলওয়ে। বিজয় হাজারে ট্রফি ক্রিকেটে। ব্যাঙ্গালুরুর আলোর ২ নং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রেলওয়ে জয়লাভ করে ৪ উইকেটে। ত্রিপুরার গড়া ২৮২ রানের জবাবে রেলওয়ে ৪৯.‌৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। ত্রিপুরার বিক্রম কুমার দাস এবং সুদীপ চ্যাটার্জি অর্ধশতরান করেন। ২৮২ রান করলেও স্কোরবোর্ডে আরও ১০ রান বাড়াতে পারতো ত্রিপুরা। ৩৭.‌৩ ওভারে ত্রিপুরার স্কোর ছিলো ২০০। শেষ ৭৫ বলে মাত্র ৮২ রান যোগ করে রাজ্যদল। এখানেই কিছুটা পিছিয়ে পড়ে। নতুবা আসরের তৃতীয় জয় পেয়ে যেতে পারলো মণিশঙ্কর মুড়াসিং-‌রা। ৩ ডিসেম্বর ত্রিপুরার ষষ্ঠ প্রতিপক্ষ মুম্বাই। সকালে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ত্রিপুরা নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান করে। প্রথম ৪ ম্যাচে ব্যর্থ পল্লব দাসকে এদিন প্রথম একাদশের বাইরে রাখা হয়। বিক্রম কুমার দাসের সঙ্গে ত্রিপুরার হযে গোড়াপত্তন করতে নামনে দলনায়ক ঋদ্ধিমান সাহা। ওই জুটি কিছুটা ধীরে সুস্থে খেলতে থাকেন শুরু থেকেই। ওখানেই কিছুটা পিছিয়ে পড়ে ত্রিপুরা। অফফর্মে থাকা ঋদ্ধিমান রানে ফিরতে শুরু থেকেই উইকেট টিকে থাকার উপর জোর দেন। ওই জুটি ১১৬ বল খেলে ৮৭ রান যোগ করেন। ঋদ্ধিমান ৬২ বল খেলে ৫ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৭ রান করেন। বিক্রম ৮২ বল খেলে ৯ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৮ রান করেন। আসরে বিক্রমের এটা তৃতীয় অর্ধশতরান। সুদীপ চ্যাটার্জি ৮০ বল খেলে ৮ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৩ রান করে ত্রিপুরার স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মূখ্য ভূমিকা নেন। শেষ দিকে মণিশঙ্কর মুড়া সিং এবং বিক্রম দেবনাথ ছোট্ট ইনিংস খেললেও তা দলীয় স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বড় ভূমিকা নেয়। মণিশঙ্কর ২২ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২৫ এবং বিক্রম ১৫ বল খেলে ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২২ (‌অপ:‌) রান করেন। রেলওয়ের পক্ষে যুবরাজ ৬৪ রানে ৩ টি এবং শিবম চৌধুরি ৪৪ রানে ২ টি উইকেট পেয়েছেন। জবাবে খেলতে নেমে রেলওয়ে ৪৯.‌৫ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। দলের পক্ষে শিবম চৌধুরি ৮২ বল খেলে ৯ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ‌৭৮, প্রীতম সিনহা ৮৫ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারি ও ৩ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৫,মহম্মদ সাইফ ৬৮ বল খেলে ৮ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৪ এবং দলনায়ক উপেন্দ্র যাদব ৩১ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২৬ রান করেন। ত্রিপুরার পক্ষে মণিশঙ্কর মুড়াসিং ৪০ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট দখল করেন।