মহিলা বিচারপতির স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি, ১ ডিসেম্বর (হি.স.) : কলকাতা হাই কোর্টের এক মহিলা বিচারপতির স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের মামলায় কোনও বাড়তি পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। তবে শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, বিধাননগর দক্ষিণ থানায় যে এফআইআর দায়ের হয়েছিল, তার ভিত্তিতে ওই মামলায় এক মাসের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করতে হবে পুলিশকে। আগামী জানুয়ারি মাসে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত স্টেটাস রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে জমা দিতে হবে।

শুক্রবার রাজ্য ওই তদন্তের ৪৮ পাতার রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয়। ওই রিপোর্ট দেখে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “এই তদন্তে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। তবুও তদন্তের এই পর্যায়ে আমরা কোনও হস্তক্ষেপ করব না। পুলিশকে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে হবে।”

ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি অপরাধের মামলায় অবৈধ ভাবে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ওঠে কলকাতা হাই কোর্টের এক মহিলা বিচারপতির স্বামীর বিরুদ্ধে। পেশায় তিনিও আইনজীবী। ৬৪ বছরের এক বিধবা এবং তাঁর মেয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

আইনি সংক্রান্ত বিষয়ে খবরাখবর পরিবেশনকারী সংবাদমাধ্যম ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের সিআইডিকে ‘ভয়ডরহীন’ ভাবে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি এলভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি, কোনও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হলে সেটাও শীর্ষ আদালতকে জানানোর কথা বলা হয়। তদন্ত শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে মুখবন্ধ খামে তথ্য পেশের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, পৈতৃক সম্পত্তি থেকে তাঁকে বঞ্চিত করার জন্য বাপের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন দাদা এবং অন্যান্য আত্মীয়। সুপ্রিম কোর্টে ওই বিধবার আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলকে একাধিক বার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি, বৃদ্ধাকে যে মারধর করা হয়েছে, তার প্রমাণ রয়েছে সিসিটিভিতে। এর প্রেক্ষিতে ওই বৃদ্ধা আত্মীয়দের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি অভিযোগ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *