ছত্তিশগড়-৪৯১/৬
ত্রিপুরা- ৬৬/৬
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ নভেম্বর।।
ফলোয়নের মুখে ত্রিপুরা। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে ৪ দিনের ম্যাচ হবে ৩ দিনেই। একদিবসীয় আসরের পর ৪ দিনের ম্যাচেও ব্যর্থ ব্যাটসম্যান-রা। যে উইকেটে ছত্তিশগড়ের ব্যাটসম্যান-রা দাপট দেখালেন সেই উইকেটেই কার্যত লুটিয়ে পড়লেন ত্রিপুরার তথাকথিত নামিদামী ব্যাটসম্যান-রা। অনূর্ধ্ব-১৯ কোচ বিহার ট্রফি ক্রিকেটে। ছত্তিশগড়ের সেক্টর ১৬ ক্রিকেট মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্বাগতিক দলের গড়া ৪৯১ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে ত্রিপুরা ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৬ রান করতে সক্ষম হয়। ত্রিপুরা এখনও পিছিয়ে রয়েছে ৪২৫ রানে। প্রথম দিনের ৫ উইকেটে ২৫৭ রান নিয়ে খেলতে নেমে শনিবার শুরু থেকেই মারমুখি মেজাজে ছিলেন তজভীর। ত্রিপুরার বোলারদের তেমন তোয়াঙ্কা না করে দ্রুত স্কোরবোর্ড সচল রাখার দিকে নজর দেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান তজভীর এবং বলরাজ সিং। ষষ্ঠ উইকেটে ৩২৫ বল খেলে ২৫৩ রান যোগ করে দলের স্কোরকে মজবুল করে দেয়। তজভীর ১৪৮ বল খেলে ২৫ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫৩ রান করে বিশাল সিনহার তৃতীয় শিকার হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত নিষুঙ্ক বিরলাকে সঙ্গে নিয়ে মরশুমের প্রথম ম্যাচে দ্বিশতরান করার গৌরব অর্জন করেন বলরাজ। ওই রান করতে ৪৪৫ বল খেলে ৩৩ বার সীমানার বাইরে বল পাঠিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ছত্তিশগড় ১৩৯.৩ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষনা করে। ত্রিপুরার পক্ষে বিশাল সিনহা ৫৭ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট দখল করেন। জবাবে খেলতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষে ত্রিপুরা উইকেট হারিয়ে রান করে। ওপেনিং জুটিতে দলনায়ক দ্বীপজয় দেব এবং দেবাংশু দত্ত ৩৩ রান যোগ করেন। দ্বীপজয় ৩৩ বল খেলে ৪ রান করেন। দলীয় ৪২ রানের মাথায প্যাভেলিয়নে ফিরেন দেবাংশু দত্ত। আউট হওয়ার আগে ৪৭ বল খেলে ৬ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৪ রান করেন। এরপর ক্রমাগত উইকেট হারাতে থাকে ত্রিপুরা। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দিনের শেষে ৩৮ ওভার ব্যাট করে ত্রিপুরা ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৬ রান করতে সক্ষম হয়। প্রীতম দাস ৫৯ বল খেলে ৭ রানে এবং অভিক পাল ১০ বল খেলে ২ রানে অপরাজিত থেকে যান। ছত্তিশগড়ের পক্ষে নিখিল ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট দখল করে। ত্রিপুরা এখনও ৪২৫ রানে পিছিয়ে রয়েছে।