তারুণ্যের উচ্ছল প্রাণবন্যায় ভরপুর যুবসমাজ হলো দেশ, জাতি, সমাজ ও সভ্যতা বিনির্মাণের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি : সুশান্ত

আগরতলা, ১৭ নভেম্বর : তারুণ্যের উচ্ছল প্রাণবন্যায় ভরপুর যুবসমাজ হলো দেশ, জাতি, সমাজ ও সভ্যতা বিনির্মাণের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি। আজ আগরতলার একটি বেসরকারি হোটেলে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ত্রিপুরা প্রদেশের স্টেট এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠক ও মন্ডল সশক্তিকরণ প্রশিক্ষণ বর্গ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে একথা বলেন পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

এদিন শ্রী চৌধুরী বলেন, যুবসমাজ জাতির স্তম্ভ। ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশের বয়স ৩৫ বা তার নীচে। এই যুবক-যুবতীরাই আগামী দিনে দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবে। এই লক্ষ্যে যুবসমাজের জন্য বেশ কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৮ সালে রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সৎ, দক্ষ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব দীর্ঘ ২৫ বছরে বামেদের অপশাসনে যুবক ও তরুণদের মাঝে ঘুণেধরা এই সমাজকে পরিবর্তনে রাষ্ট্রবাদী চেতনার মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশিত সোনালি সমাজ তৈরির একটি স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে সক্ষম হয়েছে।

তাঁর কথায়, তারুণ্যের উচ্ছল প্রাণবন্যায় ভরপুর যুবসমাজ হলো দেশ, জাতি, সমাজ ও সভ্যতা বিনির্মাণের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি। যুবসমাজের মূূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও নৈতিক মানদণ্ড অর্জনের ওপর দেশ ও জাতির ভালো-মন্দ নির্ভর করে। জাতির প্রত্যাশা পূরণে নৈতিকতাসম্পন্ন দেশপ্রেমিক যুবকদের প্রয়োজন অপরিসীম। দীর্ঘ ২৫ বছরের বামেদের অপশাসনে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ, জবর দখলসহ নানান সব নেতিবাচক দিক চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছিল।

এদিন তিনি জোর গলায় বলেন, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কমিউনিস্টদের দীর্ঘ ২৫ বছরের জগদ্দল পাথরের অপশাসনের কবল থেকে আমাদের ত্রিপুরা মুক্তি পেয়েছিলো যুবসমাজের দুঃসাহসিক অদম্য ভূমিকার মাধ্যমে। সোনালি অতীত বহনকারী এই রাজ্যের যুব সমাজের ইতিহাসের পাতায় যখন কলঙ্কের কালিমা লেপন করছিলো স্বার্থান্বেষী কমিউনিস্টরা, আলোর মশাল হাতে অন্ধকার জয় করতে তখনই যাত্রা শুরু করেছিল ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা। যেখানে মেধা, মননশীলতা আর মূল্যবোধের জয়গান সেখানেই ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা। আমাদের রাজ্যের অসংখ্য মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, ভালোবাসা, প্রত্যাশা ও স্বপ্ন আজ শুধুই ভারতীয় জনতা যুব মোর্চাকে কেন্দ্র করে।

তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, উন্নততর ত্রিপুরা নির্মাণের যে মহাযজ্ঞে যুব মোর্চার ভাই ও বোনেরা ব্রতী হয়েছেন, সকলের সহযোগিতাতেই একমাত্র সেই যজ্ঞ সাফল্যমণ্ডিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *