নদিয়া, ১৭ নভেম্বর (হি.স.) : সদ্য উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে চাঁদার ইস্যুতে মহিলা-সহ ৩ জনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এবার ফের চাঁদা নিয়ে জুলুমের অভিযোগ উঠল নদিয়া জেলায়।
এবার চাঁদার দাবিতে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ। দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে শুক্রবার তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। নদিয়ার ফুলিয়ায় শুরু হয় বিজেপির বিক্ষোভ। পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ ঘিরে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়।
পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার এক্স হ্যাণ্ডেলে লিখেছেন, “নদীয়ার ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ সুজন দাস চাঁদার জুলুমবাজির শিকার হয়ে কর্ত্যব্যরত অবস্থায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে সংকটজনক অবস্থায় কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার বিজেপি বিধায়ক পার্থ সারথি চ্যাটার্জি এবং রাজ্য মহিলা নেত্রী ডাঃ অর্চনা মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপি কার্যকর্তারা নদীয়ার ফুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। পুলিশ তাদের অনৈতিক ভাবে বাধা দেয় এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলে।
পুলিশের অতর্কিত আক্রমণে বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী, ডাঃ অর্চনা মজুমদার সহ দলের একাধিক নেতৃত্ব ও কার্যকর্তাগণ আঘাতপ্রাপ্ত এবং আহত হন। বিক্ষোভ চলাকালীন বিজেপি নেতৃত্বের প্রতিনিধি দল ফুলিয়ায় পুলিশ ফাঁড়ির ওসির সাথে কথা বলতে চাইলেও তিনি নাকি ফাঁড়িতে ছিলেন না। তিনি অভিযোগ কে গুরুত্ব না দিয়ে এফআইআর-এ নাম থাকা মূল অভিযুক্ত চাঁদ ঘোষ সহ অন্যান্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার বদলে তাদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন।
বিধায়ক পার্থসারথি বাবু এবং বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার সহ আমাদের দলের একাধিক কার্যকর্তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হয়েছে। বিজেপির শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে মমতা-পুলিশের এই কদর্য আক্রমণের তীব্র ধিক্কার জানাই এবং প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার দোষীদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি, নাহলে আগামী দিনে বিজেপি আরও বৃহত্তর আন্দোলনের নামবে।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই চাঁদার ‘জুলুম’-এর প্রকাশ্যে বিস্ফোরক অভিযোগ আসে রায়গঞ্জে। স্বামী-ছেলে-সহ মহিলাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ক্লাব সদস্যদের বিরুদ্ধে। এতটাই মারধর করা হয়, যে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্ত মহিলাকে ভর্তি করতে হয়। এমনকি জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণটা নেহাত কম ছিল না। তার পরেও গুণতে হয় মাশুল। ‘১ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়ার পরও ফের চাঁদা দাবি’। দ্বিতীয়বার চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মার, দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন ওই মহিলা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় পুর-কোঅর্ডিনেটর ও ক্লাবের সভাপতি।