আগরতলা, ১৬ নভেম্বর : ত্রিপুরায় প্রধানমন্ত্রী কিষান স্কিমের আওতায় কৃষকদের পকেটে এখন পর্যন্ত ৬৪০ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। ত্রিপুরায় ২ লক্ষ ২২ হাজার ৯৫৫ জন কৃষক ওই টাকা পেয়ে উপকৃত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেছেন কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তাঁর দাবি, গতকাল বুধবার ১৫তম কিস্তি বাবদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ত্রিপুরার কৃষকদের কাছে ৪৪ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন।
এদিন তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিষান স্কিমের আওতায় কৃষকরা দারুণভাবে উপকৃত হচ্ছেন। প্রতি বছর দেশের কৃষকরা ৬ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। তাঁর দাবি, কৃষকদের আয় বাড়ানো এবং তাঁদের বাঁচিয়ে রাখাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বর্তমান ত্রিপুরা সরকারের প্রধান লক্ষ্য। তাঁর কথায়, গ্রাম, গরীব ও কৃষকদের উন্নয়ন বিজেপি সরকারের মূল নীতি।
আজ কৃষি মন্ত্রী জোর গলায় বলেন, ত্রিপুরায় কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাতে, পরিণাম দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাম আমলে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে কৃষকদের মাসিক আয় ছিল ৬৫৮০ টাকা। জাতীয় নমুনা সমীক্ষা অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে সেই আয় বেড়ে হয়েছে ৮৯৮২ টাকা। তাঁর কথায়, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজ্যের নিজস্ব সমীক্ষায় দেখা গেছে কৃষকদের আয় বেড়ে হয়েছে ১১০৯৬ টাকা। কিন্তু, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেই আয় আরও বেড়ে ১৩৫৯০ টাকা হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে, জোর গলায় দাবি করেন তিনি।
এদিন কৃষিমন্ত্রী এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কিষান স্কিমের আওতায় ত্রিপুরায় জেলাভিত্তিক অর্থ প্রাপ্তির বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। তাঁর প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, ধলাই জেলায় ৩৫৮৩৭ জন কৃষক ১০৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা, গোমতী জেলায় ৩১৮২৫ জন কৃষক ১০২ কোটি ৩০ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, খোয়াই জেলায় ২১৯৭১ জন কৃষক ৫৮ কোটি ৩২ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৩৮৯৪৭ জন কৃষক ১১৭ কোটি ১৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা, সিপাহীজলা জেলায় ২৭৪০৭ জন কৃষক ৭৩ কোটি ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৩১৯৯৫ জন কৃষক ৯৪ কোটি ৬৫ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা, ঊনকোটি জেলায় ১৬০৮৩ জন কৃষক ৪১ কোটি ৬১ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ১৮৮৯০ জন কৃষক ৪৯ কোটি ৯৩ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা পেয়েছেন।