মালদ, ১৫ নভেম্বর, (হি.স.): পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে পুখুরিয়া থানার শিমলা এলাকায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুখুরিয়া থানার পুলিশ। মৃত গৃহবধূর নাম সুপ্রিয়া সিংহ ওরফে দীপা (৩৫)। বাড়ি রতুয়ার মণিপুরে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১১ বছর আগে রতুয়ার মুনচা এলাকার বাসিন্দা সুজিত সিংহের সঙ্গে বিয়ে হয় সুপ্রিয়ার। তাঁদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, গত তিন বছর ধরে সুপ্রিয়া বাড়ি যাননি। তিনি মালদা শহরের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত।
কালীপুজোর রাতে সুপ্রিয়া ছেলেকে নিয়ে পুজো দিতে বাবার বাড়িতে যান। সেখানেই স্বামীর সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। মঙ্গলবার সুপ্রিয়া শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার বদলে ছেলেকে নিয়ে মালদা শহরে ফিরছিলেন। সেই সময় সুজিত ছুরি দিয়ে সুপ্রিয়াকে একাধিক কোপ মারে বলে অভিযোগ। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে আড়াইডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে মালদা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সুপ্রিয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত বধূর শাশুড়ি মিনতি সিং বলেন, “জ্যাঠতুতো ভাই বিহার থেকে আমাদের ফোনে জানায় মেলাতে আমার বউমাকে ছুরি মেরেছে ছেলে। ছোটো বাচ্চা থাকা সত্ত্বেও গত তিন বছর ধরে সংসারে আগ্রহী ছিল না বউমার। সংসার ছেড়ে বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করে সে। পরে সেখান থেকে অন্য এক জায়গায় চলে যায়। আজ ছেলে বউমাকে ফোন করে ডেকেছিল নাকি বউমা নিজেই নিজের বাড়িতে জিনিসপত্র নিতে গিয়েছিল, তা জানা নেই। চিকিৎসকরা বলছেন বউমা মারা গিয়েছে।”
পুখুরিয়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামীর খোঁজ চলছে। এই ঘটনায় এখনও পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এই ঘটনার সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।