গুয়াহাটি, ৮ নভেম্বর (হি.স.) : স্টুডিওয় গান রেকর্ডিঙে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু আচমকা অসুস্থ হয়ে ঢলে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি গুয়াহাটির বেসরকারি নেমকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভরতি করা হয় জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, অসমের তরুণ প্রজন্মের হার্টথ্রব জুবিন গার্গকে। হাসপাতালের আইসিইউতে ভরতি করে চিকিৎসা করছেন কয়েকজন ডাক্তার।
এ খবর লেখা পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। জুবিনের চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. হিতেশ বরুয়া জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে তাঁর ইসিজি, সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই করা হয়েছে। চার সদস্যের চিকিৎসকের এক দল তাঁর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি নিউরো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
ডা. হিতেশ বরুয়া জানান, এমআরআইতে কোনও ইন্টারনাল আঘাত নেই। তাই চিন্তার কোনও অবকাশ নেই। আসলে অবিরাম কাজ করার ফলে অসুস্থ হয়েছেন তিনি। তিনি জানান, চিকিৎসা সম্পৰ্কিত সব পরীক্ষা শেষে আগামীকাল তাঁকে ক্যাবিনে স্থানান্তর করা হবে। যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে, তা-হলে দু-একদিন পর হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে, জানান ডা. বরুয়া
এক জিজ্ঞাসার জবাবে ডা. হিতেশ বরুয়া বলেন, তিন এখন স্বাচ্ছ্ন্দ্যে কথা বলছেন, খাওয়া-দাওয়াও করছেন। শুটিঙের জন্য তিনি লন্ডনে যাবেন, বলেছেন জুবিন। লন্ডনে যেতে কোনও অসুবিধা নেই। তবে তাঁর কিছুদিন বিশ্ৰামের প্ৰয়োজন, বলেন, ডা. বরুয়া।
প্রসঙ্গত, জুবিন গার্গ অসমের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক আইকনদের একজন। অসমিয়া যুবপ্রজন্মের হার্টথ্রব, বিশিষ্ট সংগীত-তারকা, গীতিকার, সুরকার, চিত্র-পরিচালক, প্রযোজক ৫০ বছর বয়সি জুবিন গাৰ্গ একজন সফল অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাও। মিশন চিন এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার মতো হিট অসমিয়া সিনেমা তৈরি করেছেন জুবিন।
উল্লেখ্য, এর আগেও স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার জন্য হার্টথ্রব জুবিন গার্গ আয়ুরসুন্দ্রা, হেল্থ সিটী, নেমকেয়ার হাস্পতালে চিকিৎসাধীন হয়েছিল। ২০২২ সালে ডিব্ৰুগড়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে গুয়াহাটিতে নিয়ে আসা হয়েছিল। ২০২১ সালের অক্টোবরে উচ্চরক্তচাপের জন্য জুবিনকে আয়ুরসুন্দ্ৰায় ভরিতি করা হয়েছিল। মুম্বাইয়েও কয়কমাস চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ছিলেন জুবিন গার্গ।
জুবিন গাৰ্গ অসুস্থ হওয়ার খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লে নেমকেয়ার হাসপাতাল ঢল নেমেছে তাঁর অনুরাগীদের।

