স্বয়ংসেবকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অযোধ্যার শ্রী রাম মন্দির দেখার আমন্ত্রণ জানাবে


নয়াদিল্লি, ৭ নভেম্বর (হি.স.) : রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের স্বয়ংসেবকরা নতুন বছরের শুরু থেকে জোর কদমে জনসংযোগের কাজ করবে । ২০২৪ সালে ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত স্বয়ংসেবকরা সারা দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অযোধ্যার শ্রী রাম মন্দির দেখার জন্য লোকদের আমন্ত্রণ জানাবে। ভুজে (গুজরাট) অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় কার্যনির্বাহী মণ্ডলের তিনদিনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভায় অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি মন্ডলের গত দুদিনে অনুষ্ঠিত আলোচনার তথ্য জানাতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংঘের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলে বলেন, ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত স্বয়ংসেবকরা । রাম মন্দিরের জন্য প্রচার চালাবেন। এই প্রচারাভিযানে স্বয়ংসেবকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে রাম মন্দির দেখার আমন্ত্রণ জানাবেন।

তিনি বলেন, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে। ট্রাস্ট জানিয়েছে, শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে। ২২শে জানুয়ারি নবনির্মিত গর্ভগৃহে উপবিষ্ট হবেন রামলালা। এই উদ্দেশ্যে, ১৪ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত পূজা-অর্চনা চলবে। এর আগে স্বয়ংসেবকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনগণের কাছে ছবি দেবেন এবং রামলালার দর্শনের আমন্ত্রণ জানাবেন।

সংঘের সরকার্যবাহ জানান, সংঘের শতবর্ষে সামাজিক পরিবর্তনের জন্য পাঁচটি সংকল্প নেওয়া হয়েছে। কার্যনির্বাহী মণ্ডলের বৈঠকে এসব বিষয়েও বিবেচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সামাজিক সম্প্রীতি অর্থাৎ বৈষম্য মুক্ত হিন্দু সমাজ, পারিবারিক জ্ঞানার্জন, পরিবেশ সুরক্ষা, স্বদেশী জীবনধারা এবং নাগরিক কর্তব্য। স্বয়ংসেবকরা এসব বিষয়ে সমাজের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে।

তিনি বলেন, প্রতি বছর স্বয়ংসেবকদের প্রশিক্ষণের জন্য ক্ষেত্রে ২১ দিনের সংঘ শিক্ষাবর্গ এবং নাগপুরে ২৫ দিনের দিনের সংঘ শিক্ষাবর্গের আয়োজন করা হয় । বর্তমান পরিস্থিতি দেখে সংঘ প্রশিক্ষণের বিভাগে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। শারীরিক ও বৌদ্ধক জ্ঞান ছাড়াও কিছু ব্যবহারিক জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করে, বয়সভিত্তিক বর্গ ও বিষয়ভিত্তি বর্গ আয়োজনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কার্যনির্বাহী মণ্ডলের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। –হিন্দুস্থান সমাচার / কাকলি