করিমগঞ্জের লাতু জমিদার বাড়িতে উদ্ধার ২০০ বছরের পুরনো সিন্দুক, গুপ্তধনপ্রাপ্তির আশায় জল

করিমগঞ্জ (অসম), ৭ নভেম্বর (হি.স.) : ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবৰ্তী করিমগঞ্জ জেলা সদরের উপকণ্ঠ লাতুর জমিদার বাড়িতে উদ্ধার হয়েছে ২০০ বছর পুরনো একটি সিন্দুক। আশা করা হয়েছিল, এ থেকে মিলবে প্রচুর গুপ্তধন। কিন্তু সে আশা নিরাশায় পরিণত হয়েছে সিন্দুক ভেঙে সামান্য সামগ্রী উদ্ধারের ঘটনায়।

একদার অষ্টপতি জমিদারদের প্রতাপ ছিল এই অঞ্চলে। তবে এখন আর সেই জমিদারও নেই, নেই প্রতাপ, নামেই জমিদারবাড়ি। ভেঙে পড়েছে বাড়ির ছাদ, খসে পড়েছে আস্তরণ। গোটা বাড়ির এদিক-ওদিকের দেওয়াল ফেঁটে চৌচির। এক কথায় জরাজীর্ণ অবস্থা। এক সময়ের তিন তালুকে জমিদারি ছিল। সেই অষ্টপতি জমিদারদের বাড়ি এখন খা খা করছে। বংশধর আছেন। কিন্তু তাঁদের এখন নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা। আর সেই বাড়িতেই খোঁজ মিলেছে একটি সিন্দুকের। ওই সিন্দুক থেকে উদ্ধার হয়েছে সোনা, রূপা সহ বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী।
জানা গেছে, তদানীন্তন ভারত ভূখণ্ডের জেলা সদর সিলেটের (অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত) তৎকালীন রাজা গৌরগোবিন্দ জমিদারি দিয়েছিলেন অষ্টপতিদের। তখনই দাস থেকে তাঁদের উপাধি পরিবর্তন করেন রাজা। বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জমিদারবাড়ি দীর্ঘদিন ধরে ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। বংশধরের অনেকে আবার লাতু ছেড়ে শহরের বাসিন্দা হয়েছেন। শেষ জমিদার সুরেন্দ্র দাসের বংশধররা সবাই প্রয়াত। তাই তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দেখাশোনা করারও কেউ নেই। বেশ কয়েকদিন আগে ওই সিন্দুক উদ্ধার করেন বাড়ির অন্য সদস্য শচীসচন্দ্র দাস। এর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সিন্দুকটি খুলে দেখার।

আজ মঙ্গলবার জমিদারবাড়ির সব শরিক একত্রিত হলে কাটার দিয়ে ভাঙা হয় ২০০ বছরের পুরনো সিন্দুক। সিন্দুক ভাঙতেই সকলের চোখ চড়কগাছ। ভেতর থেকে উদ্ধার হয় সোনা রূপা সহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী। মুহূর্তে খবর চাউর হয়ে যায়, অষ্টপতিটিলায় গুপ্তধন মিলেছে। খবর শুনে কেবল লাতু নয়, আশপাশের গ্রাম থেকেও মানুষের ঢল নামে। তবে সিন্দুক থেকে গুপ্তধন না মেলায় হতাশ হয়েছেন অনেকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *