নয়াদিল্লি, ৪ নভেম্বর (হি.স.) :বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত দেশের রাজধানী দিল্লি গ্যাস চেম্বার হয়েই আছে। দীপাবলির আগে বাতাস ক্রমশ বিষাক্ত হয়ে উঠছে। বাড়ছে শ্বাসকষ্ট ও চোখের বিপদ । আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার পর সরকারের প্রচেষ্টায় আগামী দিনে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি।
আজ (শনিবার) ভোর ৪টায় এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এই তথ্য অনুসারে, দিল্লি-এনসিআর-এ বায়ুর গুণমান সূচক অত্যন্ত খারাপ বিভাগে রয়ে গেছে। একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) ৫০০ ছাড়িয়েছে। এর আগে শুক্রবার, দিল্লিতে গুরুতর বিভাগ সহ একিউআই ৪৫৯ রেকর্ড করা হয়েছিল।
সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের মতে, আজ বাতাসের মানের সূচকে সামান্য উন্নতি হবে কিন্তু আগামী তিন দিন বায়ু গুরুতর বিভাগে থাকবে। তাই বর্তমানে দূষণ থেকে খুব একটা রেহাই পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ কারণে জিআরপির চতুর্থ দফার নিষেধাজ্ঞাও দু-এক দিনের মধ্যে কার্যকর হতে পারে।
এদিকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট কমিশনের সাব-কমিটি। কমিশন বলেছে, দিল্লির গড় বায়ু সূচক ছিল ৩৬৮। এক সময় দুপুর ১২টায় বাতাসের সূচক ৪৭৫-এ পৌঁছেছিল। এর পর বায়ু সূচকে সামান্য উন্নতি হয়েছে। এ কারণে সন্ধ্যা পাঁচটায় বাতাসের সূচক ছিল ৪৫৬। আপাতত জিআরপির তৃতীয় ধাপের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। প্রয়োজনে চতুর্থ ধাপের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।
এর আগে গতকাল (শুক্রবার) ভোর ৫টার পরিসংখ্যানও ছিল ভীতিকর। এই তথ্য অনুসারে, দিল্লিতে একিউআই ছিল ৪৫৯ গুরুতর বিভাগে। নয়ডায় এই মাত্রা ছিল ৪১৮। সকালে গাজিয়াবাদের একিউআই রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬৩ এ। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় দিল্লির গড় একিউআই ছিল ৪০২। এটি বায়ুর গুণমান সূচকের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্তর হিসাবে বিবেচিত হয়।
দেশের রাজধানীতে ক্রমবর্ধমান বিষাক্ত বাতাসের মধ্যে, দিল্লি সরকার বৃহস্পতিবার নার্সারী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত দুই দিনের জন্য (নভেম্বর ৩ এবং ৪) স্কুলগুলি বন্ধ ঘোষণা করেছিল। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণ ইস্যুতে সরকারকে তিরস্কার করেছিল।