ঢাকা, ২২ অক্টোবর, (হি.স.) : সম্প্রীতির আবহে জমে উঠেছে ঢাকার দুর্গাপুজো। অষ্টমীর দুপুরে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অষ্টমীতে রীতি মেনে বাংলাদেশেও হয়েছে কুমারী পুজো। কুমারীদেরও আশীর্বাদ করেছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।
রবিবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীকে নাচেগানে বরণ করে নেওয়া হয়। তাঁকে কাছে পেয়ে অত্যন্ত খুশি হন মণ্ডপে উপস্থিত সকলে। হাসিনা হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ নেন পুজো ঠিকমতো চলছে কি না। কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, তাও জেনে নেন।
সূত্রের খবর, রবিবার প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দেশের আরও কয়েকটি পুজোমণ্ডপ ঘুরে দেখবেন। পাঁচ দিনের পুজো শেষে তিনি সকলকে শুভেচ্ছা জানাবেন। এ বছর বাংলাদেশে আরও সমারোহে পালিত হচ্ছে হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব। বেড়েছে পুজোমণ্ডপের সংখ্যাও। সেসব মণ্ডপের নিরাপত্তায় জোর দিয়েছে সরকার।গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে দুর্গাপুজো ঘিরে একাধিক সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লা-সহ কয়েকটি জেলায় মূর্তি ভাঙচুর, ধর্মের অবমাননার মতো ঘটনায় গ্রেপ্তারও হয়েছে। এ বছর তাই গোড়া থেকেই সাবধানী প্রশাসন। তার ওপর সামনেই ভোট। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখাটা আবশ্যিক।
দুর্গাপুজোয় জঙ্গি হামলা নিয়ে গুজব ছড়ানোয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে সাংবাদিক বৈঠক করে সকলকে আশ্বস্ত করেছেন। সেইসঙ্গে পুজোর কয়েকটা দিন মণ্ডপ, হিন্দুদের বাড়িঘরদোর পাহারার নির্দেশ দিয়েছেন। এসবের পর অষ্টমীর দিন প্রধানমন্ত্রী নিজে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে পুজোর খোঁজখবর নিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক-সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।