বিজয়া দশমীর দিন রাজ্যের ২৫টি মৎস্য বিক্রয় কেন্দ্রে ৭ হাজার কেজি মাছ বিক্রয় করা হবে : মৎস্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১৮ অক্টোবর : আসন্ন দুর্গোৎসব উপলক্ষে বিজয়া দশমীর দিন মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে সরকারি মূল্যে ৭ হাজার কেজি মাছ বিক্রয় করা হবে। এজন্য রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ২৫টি মৎস্য বিক্রয় কেন্দ্র খোলা হবে। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস এই সংবাদ জানান। 

এদিন তিনি জানান, মৎস্য দপ্তরের নিজস্ব ১২টি ফার্ম ও সমবায় সমিতির ৬টি মৎস্য ফার্মের মাধ্যমে এই মাছ বিক্রয় করা হবে। এরমধ্যে মৎস্য দপ্তরের ফার্মের মাধ্যমে মাছ বিক্রি করা হবে ৪ হাজার ৬৫০ কেজি ও সমবায় সমিতির মৎস্য ফার্মের মাধ্যমে মাছ বিক্রি করা হবে ২ হাজার ৩৫০ কেজি। বিজয়া দশমীর দিনে প্রধানত ৪ থেকে ৫ রকমের মাছ বিক্রয় করা হবে। এরমধ্যে রয়েছে রুই, কাতল, কার্প, মৃগেল ও সিলভারকার্প। মাছের বিক্রয়মূল্য সম্পর্কে জানাতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ১ কেজি ওজনের নিচে রুই মাছ বিক্রি করা হবে ১৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে, ১ থেকে ২ কেজি ওজনের মাছ বিক্রি করা হবে ২৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে এবং ২ কেজির উপর ওজনের মাছ বিক্রি করা হবে ৩২০ টাকা প্রতি কেজি দরে। কার্প মাছ ১ কেজি ওজনের নিচে বিক্রি করা হবে ২২০ টাকা প্রতি কেজি দরে, ১ থেকে ২ কেজি ওজনের বিক্রি হবে ২৬০ টাকা দরে এবং ২ কেজির উপর ওজনের মাছ বিক্রি হবে ৩২০ টাকা প্রতি কেজি দরে। মৃগেল মাছ ১ কেজি ওজনের নিচে বিক্রি হবে ১৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে, ১ থেকে ২ কেজি ওজনের মাছ বিক্রি হবে ২০০ টাকা প্রতি কেজি দরে এবং ২ কেজি ওজনের উপর মাছ বিক্রি হবে ৩০০ টাকা প্রতি কেজি দরে।

সাথে তিনি যোগ করেন, তিনি গত ১১ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় মৎস্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাজ্যের মৎস্যক্ষেত্রের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রস্তাব রেখেছেন। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে, উদয়পুর ফিসারি ট্রেনিং সেন্টারটিকে রিজিওন্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে রূপান্তরিত করা। এই ট্রেনিং সেন্টারটির পরিকাঠামোর উন্নয়নে ৫০ কোটি ৮ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত জলাশয়গুলিকে সংস্কার করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২৫ কোটি টাকার একটি প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে একটি ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকুয়া পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে ৯২ কোটি টাকার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ঊনকোটি জেলার সতেরো মিঞার হাওরে এই পার্কটি করা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিব বি এস মিশ্রা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *