এবার প্রযুক্তির মাধ্যমে চেতলা অগ্রণীর মাতৃমূর্তিতে চক্ষুদান করবেন মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা, ১৩ অক্টোবর (হি.স.) : চেতলা অগ্রণী পুজো মণ্ডপে না গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী দুর্গামূর্তির চোখ আঁকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে, এবিষয়ে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

মহালয়ার আগেই পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাড়ি থেকে কলকাতার বেশ কয়েকটি পুজো এবং জেলার পুজোগুলির ভারচুয়াল উদ্বোধন করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতি বছর তিনি নিজে গিয়ে কলকাতার নামী পুজোর সূচনা করেন। কিন্তু এবছর ব্যতিক্রম। পায়ে ব্যথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।

চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে তিনি বিশ্রামে রয়েছেন। সেই কারণে এবার তিনি বাড়িতে। তবে তা সত্ত্বেও কলকাতার যে একটিমাত্র পুজোয় মাতৃমূর্তির চক্ষুদান হয় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে, তার ব্যতিক্রম ঘটবে না। এবছরও তিনি চেতলার পুজোয় প্রতিমার চোখ আঁকবেন।

সূত্রের খবর, প্রতিমার মুখমণ্ডলের ছবি তুলে ক্যানভাসে পাঠানো হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তা দেখে তিনি মাপমতো প্রতিমার চোখ এঁকে পাঠাবেন। তাঁর আঁকা দেখে শিল্পী আসল মূর্তিতে চোখ আঁকবেন। কাজ যে কঠিন, তা মানছেন শিল্পী। তবে প্রথা মেনেই প্রতি বছরের মতো এবারও মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই চক্ষুদান হবে চেতলা অগ্রণীর মাতৃপ্রতিমার।

এবছর চেতলা অগ্রণীর পুজোর থিম ‘যে যেখানে দাঁড়িয়ে’। মূলত শ্রেণি বৈষম্যকে থিম করে এখানকার মণ্ডপসজ্জা করেছেন শিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার এই পুজোর সঙ্গে বরাবরই জড়িয়ে সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।

এবার কাজ প্রায় শেষ। দেবীমূর্তির চক্ষুদানের অংশ বাকি। আর তা হবে মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই। আর সেই অপেক্ষাতেই রয়েছে চেতলার উদ্যোক্তারা। তার পরই দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই পুজো মণ্ডপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *