আগরতলা, ১৩ অক্টোবর : ব্যক্তিগতভাবে তিপ্রাসাদের দাবিকে অনেকেই সমর্থন করেন। কিন্তু প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলেননি। এবার প্রতিবেশী রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তিপ্রাসাদের দাবির সমর্থনে প্রকাশ্যে মহা জনসমাবেশে অংশ নেবেন। তিপরা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মনের দাবি, আগামীকাল খুমুলুঙে তিপরা মথার জনসমাবেশে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা তিপ্রাসাদের দাবির সমর্থনে প্রকাশ্যে সুর চড়াবেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিপ্রাসাদের দাবীকে সমর্থন জানাবেন।
আজ সামাজিক মাধ্যমে বার্তায় প্রদ্যোত বলেন,শনিবার খুমুলুঙে প্রথমবারের মতো দেশের এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিপরা মথার মেগা রেলি ও সভা। এদিন দুপুরে ওই সমাবেশে তিপরা মথার দাবিকে সমর্থন জানিয়ে উপস্থিত থাকবেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। তাঁর দাবি, আগামীকাল রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলা থেকে তিপরা মথার সমস্ত কর্মী সমর্থকরা যোগ দেবেন।
তাঁর কথায়, স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর ধরে ত্রিপুরার জনজাতিরা তাঁদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য নিজের জন্ম ভূমিতেই লড়াই করে আসছেন। ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই তাঁদের দাবিকে সমর্থন জানালেও কখনো প্রকাশ্যে মুখ খুলেননি। তিপ্রাসাদের জন্য কেউ ভাবেননি। তবে এই প্রথম কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি হাজার হাজার তিপ্রাসাদের সামনে তাঁদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে কথা বলবেন, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন প্রদ্যোত।
সাথে তিনি যোগ করেন, তিপরা মথার বিভিন্ন শাখা সংগঠন থেকে এদিনের সমাবেশে কর্মীরা যোগ দেবেন। ওই সমাবেশের আওয়াজ দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছাবে। তবেই তিপ্রাসাদের দাবীকে কেন্দ্রীয় সরকার মান্যতা দিতে বাধ্য হবে।
এদিকে, প্রদ্যোত আজ দলের সকল অংশের কর্মীদের মানুষের জন্য কাজে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁদের সতর্ক করে বলেছেন, মানুষ যেমন ক্ষমতায় আনতে জানেন। সেই ক্ষমতা তাঁরাই ছিনিয়ে নিতে পারেন। প্রসঙ্গত, পার্শ্ববর্তী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তিপরা মথার এই সমাবেশ রাজনৈতিক মহলে কি প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে তিপরা মথার সমাবেশে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার উপস্থিতি রাজনীতির নতুন সমীকরণ নিয়ে আনবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

