মণিপুরে হিংসা : সরাসরি জড়িত মায়ানমার ও চিনের মদতপুষ্ট কুকি-জোমি, এনআইএকে তদন্তভার কেন্দ্রের

গুয়াহাটি, ১২ অক্টোবর (হি.স.) : মণিপুরে চলমান হিংসার পিছনে সরাসরি জড়িত ‘কুকি ন্যাশনাল আৰ্মি’ (কেএনএ) এবং ‘জোমি রিভলিউশনারি আৰ্মি’ (জেডআরএ) নামের দুই উগ্রপন্থী সংগঠন। গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত এই তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ঘটনার তদন্তভার দিয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ বা নিয়া)–কে।

মণিপুরের তিনটি কুকি এবং একটি জোমি উগ্রপন্থী সংগঠন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রয়েছে। যুদ্ধবিরতিকালেও তারা জোটবদ্ধ হয়ে মণিপুরে সহিংতা ছড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট, সশস্ত্ৰ এই চারটি উগ্রপন্থী সংগঠন মণিপুর, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের কিছু ভূখণ্ড নিয়ে স্বতন্ত্ৰ চিন-কুকি-জোমি রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করছে। তাই এরা সম্মিলিতভাবে মণিপুরকে অশান্ত করে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এছাড়া, কুকি ন্যাশনাল আৰ্মি এবং জোমি রিভলিউশনারি আৰ্মি নামের দুই উগ্রপন্থী সংগঠন মায়ানমারের জনপ্ৰতিরক্ষা বাহিনী (পিডিএফ) ও চিন থেকে প্রত্যক্ষ সমৰ্থন পাচ্ছে বলেও রিপোর্টে বলা হয়েছে। এই রিপোর্ট পেয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়াকে ঘটনার তদন্ত করে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়ার নিৰ্দেশ দিয়েছে।

বিশেষ এক সূত্ৰের দাবি, গত জুলাই মাস থেকে এনআইএ (নিয়া) ওই সব উগ্ৰপন্থী সংগঠনগুলিকে কুকি ন্যাশনাল আৰ্মি (কেএনএ), জোমি রিভলিউশনারি আৰ্মি (জেডআরএ), কুকি ন্যাশনাল ফ্ৰন্ট (নেহলুন ফ্র্যাকশন) এবং ইউনাইটেড কুকি লিবারেশন আৰ্মির বিরুদ্ধে মণিপুরে উদ্ভূত হিংসাত্মক কাৰ্যকলাপের তদন্ত করছে।

কুকি ন্যাশনাল আর্মি জোমি রিভলিউশনারি আৰ্মি, এই দুই সংগঠন কেন্দ্ৰীয় সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে আবদ্ধ। বেশ কয়েক বছর ধরে এই উগ্রপন্থী সংগঠনগুলির রাজনৈতিক শাখার প্ৰতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্ৰীয় সরকারের আলোচনা চলছে।

এরই মধ্যে গত মে মাস থেকে মণিপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষজনিত হিংসাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টির আগে মাৰ্চে মণিপুর সরকার কুকি ন্যাশনাল আৰ্মি এবং জেডআরএ-র সঙ্গে এসওও চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্তে রাজি হয়নি।