কংগ্রেসে মিশে যাওয়ার আহ্বান তিপ্রা মথাকে, প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণকে কংগ্রেসে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান সুদীপের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ অক্টোবরঃ কংগ্রেসের বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন সোমবার তিপ্রা মথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মনকে কংগ্রেস দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পুনরায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিপ্রা মথাকে নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিন সুদীপ রায় বর্মণ বলেন, “আমি এখনও প্রদ্যোত কিশোরকে কংগ্রেস পরিবারের সদস্য হিসাবে বিবেচনা করি। কারণ ঐতিহাসিকভাবে, রাজ্যের রাজপরিবার কংগ্রেসের সাথেই ছিল।  আমি আজ দেববর্মনের কাছে আবেদন জানাতে চাই, ফিরে আসুন এবং দলকে শক্তিশালী করুন।প্রয়োজনে কংগ্রেস তাকে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি পদে পুনর্বহাল করবে”। তিনি আরো বলেন,

উভয় দলের উদ্দেশ্যই এক। তাই দুই দল একসঙ্গে হয়ে জনগণের সেবায় কাজ করুক এটাই শ্রেয়।

তিনি আরও যোগ করেন “কংগ্রেসও রাজ্যের আদিবাসী ভাই ও বোনদের জন্য একটি সাংবিধানিক সমাধান চায়

আমরা বর্তমান সরকারের বিপরীতে উপজাতীয় জেলা পরিষদ প্রশাসনের কাছে সরাসরি অর্থায়নের দাবিকে সমর্থন করি।  আমরা চাই যে জেলা পরিষদের নাম পরিবর্তন করে টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল রাখা হোক কারণ আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলি রাজ্যের এক বা দুটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।  রাজ্যের সমস্ত জেলায় টিটিএডিসি এলাকার একটি অংশ রয়েছে। তা ছাড়া, রাজ্যের আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য ধারা ২৭৫ এবং ৩৭১ (কে) রয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, “সাংসদের অধিবেশন চলাকালীন আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমাদের সমস্ত দাবি উত্থাপন করব।  আমরা ক্ষমতায় থাকা দলটিকে জিজ্ঞাসা করব কেন উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক চাহিদা বিবেচনা করে ইউপিএ শাসনামলে খসড়া করা ১২৫তম সাংবিধানিক সংশোধনী বিলটি হিমাগারে পাঠানো হয়েছে।  আমি রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলকে আদিবাসীদের স্বার্থে বিক্ষোভে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানাতে চাই”।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি আশিস কুমার সাহা এবং ত্রিপুরার এআইসিসি ইনচার্জ জারিতা লাইটফ্লাং। এদিনের যোগদান সভায় প্রাক্তন মন্ত্রী মণীন্দ্র রিয়াং-এর নেতৃত্বে মোট সাত হাজার ভোটার আনুষ্ঠানিকভাবে তিপ্রা মথা ছেড়ে কংগ্রেস দলে যোগদান করেছেন।

এদিকে কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার পরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।  সমস্ত কংগ্রেস কর্মীরা তাকে উদ্ধারের জন্য ছুটে আসেন।  কিছুক্ষণ পরে তিনি জ্ঞান ফিরে পান। বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন বলে জানা গেছে।