কলকাতা, ২৭ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : পুলিশের চাকরির সাক্ষাৎকারের আগেই কিছু পরীক্ষার্থীর হোয়াট্সঅ্যাপে পৌঁছেছিল গোপন খবর। কারা সাক্ষাৎকার নেবেন, কারা প্রশ্ন করবেন, সেই তথ্য জানতে পেরেছিলেন কিছু পরীক্ষার্থী।
পরে মেধাতালিকা প্রকাশের পরও দেখা যায় বেশ কিছু অনিয়ম রয়েছে। সেই অনিয়মের অভিযোগ এনেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুলিশ কনস্টেবল পদের কিছু চাকরিপ্রার্থী। চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ৮৪১৯ জন পুলিশ কনস্টেবলের নিয়োগকে। বুধবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগকে মান্যতা না দিলেও আদালতের রায়ে কয়েকশো পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৯ সালে শুরু হওয়া এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মোট দু’টি মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। এর মধ্যে প্রথম মেধাতালিকাটি প্রকাশ করা হয় ২০২১ সালের ২৬ মার্চ। যা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন মামলাকারীরা। পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে তারা মামলাও করে ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে।
ট্রাইবুনাল পুলিশ কনস্টেবলদের নিয়োগ সংক্রান্ত ত্রুটি শুধরানোর নির্দেশ দিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডকে। এর পরেই প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় মেধা তালিকা। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সংরক্ষণের নিয়ম মেনে সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়। নতুন করে চাকরিও পান অনেকে।
কিন্তু বুধবার কলকাতা হাই কাের্ট এই দ্বিতীয় তালিকাটি খারিজ করে প্রথম তালিকাটিকেই মান্যতা দিয়েছে। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে স্যাট বা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা-ও খারিজ করেছে।