নাবালিকা পরিচারিকার ওপর নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার আধাসেনার মেজর ও তাঁর স্ত্রীর জেল হেফাজত

হাফলং (অসম), ২৬ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : পরিচারিকার কাজের জন্য বছর সতেরোর কিশোরীকে হিমাচল প্রদেশের পালামপুরে নিয়ে গিয়ে আধা সেনার মেজর এবং তাঁর স্ত্রী কিমি রালসনকে অকথ্য নির্যাতন চালানোর অভিযোগে গতকাল সোমবার গ্রেফতার করেছিল ডিমা হাসাও পুলিশ। মেজর ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘দ্য প্রটেকশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস অ্যাক্ট ২০১২’ (পোকসো)-এর ধারা রুজু করা হয়েছে। হাফলঙের বিচারবিভাগীয় আদালত জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার এ সম্পর্কে ডিমা হাসাওয়ের পুলিশ সুপার ময়ঙ্ক কুমার জানিয়েছেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ডিমা হাসাও পুলিশ অভিযোগ পায় যে হাফলং শহরের এক নাবালিকা কিশোরীকে আধা সেনাবাহিনীর মেজর ও তাঁর স্ত্রী ঘরের পরিচারিকার কাজের জন্য হিমাচল প্রদেশের পালামপুরে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে এই কিশোরীর ওপর তাঁরা অকথ্য শারীরিক নির্যাতন চালান। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে হাফলং সদর থানায় ৭৪/২০২৩ নম্বরে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩২৬, ৩৭৪, ৩৫৪, ৫০৬, ৩৭০, ৩৪ এবং পোকসো-র নির্দিষ্ট ধারায় গ্রেফতার করে আধাসেনার মেজর শৈলেন্দ্র কুমার যাদব ও তাঁর স্ত্রী কিমি রালসনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার বলেন, সোমবার বিকালে আধাসেনার মেজর ও তাঁর স্ত্রীকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হলে উভয়কে জেল হাজতে প্রেরণ করে আদালত। তিনি বলেন, শারীরিক নির্যাতিতা নাবালিকাকে চিকিৎসার জন্য হাফলং সিভিল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মেজর শৈলেন্দ্র কুমার যাদব হাফলঙে পোস্টেড ছিলে, তখন হাফলং শহরের কিমি রালসন নামের এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তিনি হাফলং থেকে বদলি হয়ে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান হিমাচল প্রদেশের পালমপুরে, সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন ঘরের পরিচারিকার কাজের জন্য হাফলং শহরের এক নাবালিকা কিশোরীকে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই এই নাবালিকার ওপর অকথ্য শারীরিক নির্যাতন চালাতেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে ভুক্তভোগী নাবালিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *