বাংলাদেশের ইলিশ আমদানির সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন ভারতীয় ব্যবসায়ীদের

ঢাকা, 23 সেপ্টেম্বর : এ বছর দুর্গাপূজা ২১ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। সেই সময়ে বাংলাদেশে ইলিশ ধরার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে, ভারতে আমদানি হওয়ার সম্ভাবনাও কম। তাই পূজার মধ্যে বাংলাদেশের ইলিশ পশ্চিমবঙ্গের মানুষের পাতে পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত ১ সেপ্টেম্বর পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদা জানিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ী সংগঠন “কলকাতা ফিশ ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন” শহরটিতে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে একটি আবেদন করে। ৪ সেপ্টেম্বর আবেদনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসে। ২০২২ সালের মতো এ বছরও অনুমতি দেয় মন্ত্রণালয়।

গত বছর দুর্গাপূজার সময় ২,৯০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। রপ্তানি হয়েছিল ১,৩০০ টন। এ বছর অনুমোদনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ৩,২২৫ কেজি ইলিশ মাছ পাঠানো হয়েছে। তবে সমস্যা বেঁধেছে, সময়সীমা নিয়ে। বাংলাদেশে বর্তমানে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ অবস্থায় ভারতে মাত্র ২২ দিন সময়ের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি করতে হবে। আর এতেই আপত্তি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের। তারা সময়সীমা বাড়াতে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসকে চিঠি পাঠিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বাংলা সংস্করণ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর দুর্গাপূজা ২১ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। সেই সময়ে বাংলাদেশে ইলিশ ধরার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে, ভারতে আমদানি হওয়ার সম্ভাবনাও কম। তাই পূজার মধ্যে বাংলাদেশের ইলিশ পশ্চিমবঙ্গের মানুষের পাতে পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে। মাছ আমদানিকারক এবং পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশের ইলিশ পাবেন ভেবে খুবই আহ্লাদিত হয়েছিলেন। বাংলাদেশে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বাসিন্দারা ইলিশ পেতে সংশয়ে আছেন।

কলকাতার ফিশ ইম্পোটার্স এসোসিয়েশনের সচিব সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, এমনিতেই প্রায় চার হাজার মেট্রিক টন ইলিশ বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত ৩০ অক্টোবরের মধ্যে আমদানি করা কঠিন হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে ইলিশ ধরার ওপরে নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে ১২ অক্টোবর থেকে। তার মানে আমরা আমদানি করার সময় পাব ১১ অক্টোবর পর্যন্ত। এই কয়েকদিনে এত ইলিশ কীভাবে আমদানি করা সম্ভব? তার কথায়, প্রাথমিকভাবে প্রায় চার হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আনার অনুমোদনের সময়সীমা ছিল ৪০ দিনের। এখন তো সেটা দাঁড়াচ্ছে মাত্র ২২ দিনে। ভারতের আমদানিকারক আর বাংলাদেশের রপ্তানিকারক- উভয়ের পক্ষেই এত মাছ আমদানি-রপ্তানি সম্ভব নয়। তাই আমরা আবেদন করেছি ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আসুক, আর ৩৯৫০ টনের মধ্যে যতটা বাকি থাকবে, সেটা যেন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরে আবারও চালু করা যায়।

কলকাতা উপ-দূতাবাসের প্রেস সেক্রেটারি রঞ্জন সেন  জানিয়েছেন, চিঠি তারা পেয়েছেন এবং সেটি ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেবেন।